সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগে কেন? সলিউশন এখানে !
ভোরে ঘুম থেকে উঠে মাথা ধরে।
দুপুরে চোখ লেগে আসে।
রাতে বিছানায় গিয়েও ঘুম আসে না।
এমনটা হলে ভাববেন না, আপনি একা।
আপনার ক্লান্তি হয়তো ঘুমের ঘাটতির জন্য না।
এর পেছনে লুকিয়ে আছে অদেখা কিছু কারণ—যেগুলো আপনিও ধরতে পারেননি।
চোখে পাণ্ডা, হাতে কফির কাপ, আর মনে একটা দীর্ঘ হাই—
এই জীবন তো আপনি চায়নি।
তাহলে ক্লান্তি কেন পিছু ছাড়ে না?
চলুন খুঁজে বের করি আসল কারণ,
আর জানি — কীভাবে এই ক্লান্তির ছায়া থেকে বের হয়ে আবার চাঙ্গা হওয়া যায়।
১. ক্লান্তি মানেই শরীর না, এটা মনেরও ব্যাপার
অনেকেই ভাবে, ঘুম কম হলেই ক্লান্তি আসে।
হয়তো ঘুম ৭ ঘণ্টা হয় ঠিকই, তবু সকালবেলা ঘুম ভাঙে গা-মাথা ভেঙে।
এটার কারণ হতে পারে মেন্টাল ওভারলোড।
দিনভর অনেক কিছু ভাবা, কাজের চিন্তা, লোকের কথা,
আর ভেতরে জমে থাকা না বলা কথাগুলো — এগুলোও শরীরের মতোই শক্তি খেয়ে ফেলে।
মন চুপচাপ কাঁদে, আর শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়।
২. পানি কম খাওয়ার পেছনে এত বড় শাস্তি?
একটা ছোট্ট তথ্য দিই —
আপনার শরীরের প্রায় ৬০% পানি।
আর এই পানি কমে গেলে আপনার এনার্জি লেভেলও এমনভাবে পড়ে যায়,
যেমন ফোন ২০% চার্জে গুটি গুটি চলে।
দিনে অন্তত ৬-৮ গ্লাস পানি খাচ্ছেন তো?
না খেলে, ক্লান্তির দায় আর ঘুমের ঘাটির ঘাড়ে ফেলবেন না।
পানি মানে শুধু হেলথ না, এটা আপনার ফোকাস, মুড,
এমনকি হালকা মাথা ঘোরা বা চট করে রেগে যাওয়ার সাথেও জড়িত।
৩. খাচ্ছেন ঠিক মতো, কিন্তু শরীর বলছে ‘না’
একবার ভেবে দেখুন, আপনার প্লেটের খাবারে কি রংধনুর সাতটা রং আছে?
সবজি, ফল, বাদাম, মাছ—এগুলো কি নিয়মিত থাকে?
ডায়েট মানেই স্যালাড না, আর জাঙ্ক মানেই আনন্দ না।
একটু ব্যালেন্স করুন।
খাবারের সাথে থাকুক পুষ্টি, আর পুষ্টির সাথে আসুক শক্তি।
সারাদিন চা আর বিস্কুট খেয়ে, আপনি যদি এভারেস্ট উঠতে চান — সেটা হবে শুধু স্বপ্নে।
৪. স্ক্রিনের আলো, ঘুমের শত্রু
রাত ১১টায় ইনস্টা, ১২টায় ইউটিউব,
আর ১টার সময় যখন ঘুম আসে না —
তখন আপনি বলেন, “ঘুমের সমস্যা হচ্ছে।”
এই স্ক্রিনের ব্লু লাইট কিন্তু আপনার মস্তিষ্ককে বুঝতে দেয় না যে এখন রাত।
ফলে ঘুম আসে দেরিতে, আসে ভাঙা ভাঙা,
আর পরদিন সকালটা হয় ঝাপসা চোখে কষ্টের।
রাতের এক ঘণ্টা স্ক্রিনমুক্ত হলে, সকালটা হয় ম্যাজিকের মতো।
৫. "না" বলতে না পারলে, ক্লান্তি আপনার পিছু ছাড়বে না
অনেকেই সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেয়।
একটা কথায় “না” বলতে পারে না।
চাইলে বিশ্রাম নিতে পারে,
তবু ভাবে — “অন্যরা কী ভাববে?”
এই "অন্যরা"র কথা ভাবতে ভাবতে একসময় আপনি হারিয়ে যান।
আপনার শান্তির জন্য, নিজের শক্তির জন্য —
"না" বলা শিখুন।
এটা স্বার্থপরতা না, এটা নিজেকে ভালোবাসা।
সমাধানটা খুব জটিল না, কিন্তু সাহসের দরকার
সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগলে ওষুধ খাওয়ার আগে একবার আয়নায় তাকান।
নিজেকে জিজ্ঞেস করুন —
"আমি কী খাচ্ছি, কী ভাবছি, কতটুকু বিশ্রাম নিচ্ছি?"
এগুলোই তো আপনার উত্তর।
আর আপনি যদি এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে পান —
তাহলেই ক্লান্তির ছায়া কমে আসবে।
ক্লান্তি আসবেই — কারণ আপনি তো রোবট না।
কিন্তু আপনি চাইলে এই ক্লান্তির সাথে বোঝাপড়া করতে পারবেন।
নিজেকে সময় দিন।
এক কাপ চা, কিছুটা সূর্যের আলো,
কোনো এক বিকেলে নিজের জন্য লেখা একটা চিঠি —
এই ছোট ছোট জিনিসগুলোতে লুকিয়ে থাকে
বড় রকমের চাঙ্গাভাব।
নিজের শরীর আর মনের কথা আগে শুনুন।শক্তি ফিরিয়ে আনুন, নিজেকেই আবার চিনে নিন।
তাহলেই জীবনটা হবে হালকা, আর ক্লান্তি হবে পুরনো গল্পের মতো — দূরের কিছু। youman আপনার পাশে আছে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন