দেশ ছাড়ার আগে প্ল্যানিং-টা মাস্ট!
বিদেশে পড়তে যাওয়ার আইডিয়া শুনলেই মাথায় একসাথে এক্সাইটমেন্ট আর টেনশন ঝিলিক মারে। নতুন একটা দেশে লাইফ সেট করতে হবে, তাই আগেই কিছু জিনিস ঠিক করে ফেললে টেনশন মাইনাস, এঞ্জয়মেন্ট প্লাস হবে!
ইউনিভার্সিটি পছন্দ
প্রথমেই ঠিক করে নাও কোন দেশের ইউনিভার্সিটিতে যেতে চাও। তোমার সাবজেক্টে টপ র্যাংকিংয়ের ইউনিভার্সিটি কোথায় আছে, সেইটা দেখে নাও। ইংলিশ স্পিকিং কান্ট্রি একমাত্র অপশন ভাবার দরকার নেই। অনেক নন-ইংলিশ কান্ট্রিতেও সেরা মানের ইউনিভার্সিটি আছে। ভাষার সমস্যা হবে, কিন্তু একটু একটু করে মানিয়ে নেয়া যাবে, সেই নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
কালচারাল শক
দেশ ছাড়ার পর নতুন কালচার তো থাকবেই, এটাকেই মজা হিসেবে নাও! প্রথমে বৈশাখী আয়োজন না থাকলেও ওখানকার সংস্কৃতির বিশেষ দিনগুলো এঞ্জয় করা শুরু কর। এই ডাইভারসিটি আসলে জীবনের এক্সপেরিয়েন্সেরই অংশ!
ডরমিটরি বা অ্যাকমোডেশন
ইউনিভার্সিটির ডরমিটরি অপশন থাকলে দারুণ, তবে সেটা তোমার জন্য বেস্ট কিনা সেটা আগে খতিয়ে দেখো। যদি ক্যাম্পাসে জব পাওয়ার চান্স থাকে, তাহলে ডর্মে থাকা বেস্ট অপশন। ডরমিটরিতে থাকতে চাইলে আগেভাগে অ্যাপ্লিকেশনে উল্লেখ করে দাও।
ক্লাইমেট রেডিনেস
শীত বা গরম—সেই দেশের আবহাওয়া একটু দেখে গা পোশাক রেডি করে নাও। যেমন ইউরোপ-আমেরিকায় মাইনাস ১০ থেকে ২০ ডিগ্রির মধ্যে টেম্পারেচার থাকে। আর কানাডার মানিটোবা গেলে মাইনাস ৩০ ডিগ্রির জন্য মেন্টালি প্রিপেয়ারড থাকো! গরম দেশে গেলে লাইটওয়েট জামা-কাপড় সাথে রাখ।
স্কলারশিপ ও ফান্ডিং
ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ পেলে তো সোনায় সোহাগা। না পেলে ধীরে ধীরে ফান্ড প্ল্যান কর। ব্যাংকে ডিপিএস করতে পারো বা ফ্যামিলি সাপোর্ট নিতে পারো। পড়াশোনার সঙ্গে পার্ট-টাইম জব এডজাস্ট করতে হবে, কিন্তু তাতে লাভই বেশি।
বিদেশের লাইফ এক্সাইটমেন্ট, এডভেঞ্চার আর গ্রোথের মিক্সচার। তাই প্ল্যানিংটা জম্পেশ করে নাও, Youman-এর সাথে থাকো, কারণ আমাদের গাইডলাইনে লাইফ হবে স্মুথ!
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন