ড্রিম ইউনিভার্সিটি চয়েজ – তুমিই ঠিক করো!
একসময় সবাই ভাবত, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে পড়ে শুধু ফাঁকিবাজ স্টুডেন্টরা। যদিও এখন এই ধারনাটা ডাইনোসরের মতোই প্রায় বিলুপ্ত। কিন্তু ‘প্রাইভেট ভার্সেস পাবলিক’ ইউনিভার্সিটি ডিবেটটা এখনও অনেকের মাথায় ঘুরপাক খায়।
প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি না পাবলিক, কোনটা বেস্ট? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার আগে একটা ছোট রিমাইন্ডার: বিশ্বসেরা বেশ কিছু ইউনিভার্সিটি যেমন হার্ভার্ড, এমআইটি, বা ইয়েল কিন্তু প্রাইভেট! এখানকার গ্র্যাজুয়েটরা গুগল-ফেসবুকের টপ পজিশনে। তাই জাস্ট ‘প্রাইভেট’ বলে হালকাভাবে নেওয়ার কিছু নেই।
বাংলাদেশে টপ র্যাংকিং ইউনিভার্সিটির তালিকাতেও পাবলিকের পাশেই রয়েছে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি। তাই পাশের কেউ যদি প্রাইভেট নিয়ে নাক সিটকায়, তাদেরও ভুল ভাঙছে! তবে পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে এপ্লিকেন্ট বেশি হওয়ায় চান্স পাওয়া একটু কঠিন আর প্রতিযোগিতা বেশি। তাই অনেকেই ইচ্ছের ডিপার্টমেন্ট না পেলে প্রাইভেট বেছে নেয়। তাতে যে একদমই প্রতিযোগিতা নেই, তা না; কিন্তু এখানে চান্স একটু বেশি থাকে।
গ্রিন ক্যাম্পাসের কথা বললে, ম্যাক্সিমাম প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস হয়তো পাবলিকের মতো গ্রীন না, তবে এডুকেশনের কোয়ালিটিতে কম্প্রোমাইজ করা হয় না। ওয়ার্ল্ড র্যাংকিং দেখলে পাবলিক-প্রাইভেট দুটোরই নাম পাবেন।
চাকরি মার্কেটে কোন ইউনিভার্সিটি এগিয়ে আছে, কোন ইউনিভার্সিটির এলামনাইরা বড় বড় পোস্টে বসে আছে, সেটা একটু খোঁজ নিলেই উত্তর পেয়ে যাবেন। কারণ নেটওয়ার্কিংয়েও ইউনিভার্সিটির এলামনাই গ্রুপ অনেক হেল্প করতে পারে।
হ্যাঁ, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনার খরচটা একটু বেশি, কিন্তু কোয়ালিটি এডুকেশনে ইনভেস্ট করতে হলে এটুকু তো করতেই হবে। অন্যদিকে পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্বল্প খরচে পড়াশোনা থেকে শুরু করে আরও অনেক ফ্যাসিলিটি দিচ্ছে।
তাহলে সময় নষ্ট না করে নিজের জন্য বেস্ট অপশনটা বেছে নিন!এক্সাইটিং টিপস আর ট্রিকস পেতে Youman ফলো করুন!
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন