ইমারজেন্সি ফান্ড না থাকলে এখনই বানান!
একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন মোবাইলটা হুট করে কাজ করছে না! অথবা হুট করে বাইকের ইঞ্জিন বিগড়ে গেছে! কিংবা আচমকা চাকরি চলে গেল!
এই অবস্থায় যদি ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স শুন্য থাকে, তাহলে কী করবেন? বন্ধুর কাছে ধার চাইবেন, না বাবা-মায়ের কাছে?
কিন্তু যদি এমন হতো যে আপনার কাছে একটা "ইমারজেন্সি ফান্ড" ছিল? তাহলে নিজেই নিজের হিরো হয়ে যেতে পারতেন!
১। ইমারজেন্সি ফান্ড মানে আসলে কী?
ইমারজেন্সি ফান্ড মানে সেই টাকা যা আপনি শুধুমাত্র জরুরি সময়ের জন্য রেখে দেবেন!
চাকরি চলে গেলে
হঠাৎ মেডিকেল ইস্যু হলে আনএক্সপেক্টেড খরচ (যেমন মোবাইল, ল্যাপটপ নষ্ট হওয়া)
বৃষ্টি আর বাজ পড়ে ছাতা হারিয়ে ফেলা!
এই ফান্ড দুই-তিন মাসের খরচ চালানোর মতো হতে হবে, যাতে আপনি চাপমুক্ত থাকতে পারেন!
প্রো টিপ: এই টাকা যেন নষ্ট না হয়, তাই এটাকে আলাদা একাউন্টে রাখুন!
২। কেন ইমারজেন্সি ফান্ড দরকার?
মাস শেষে টাকা না থাকলে স্ট্রেস বাড়ে!
Imagine করুন – আপনি স্যালারির জন্য অপেক্ষা করছেন, কিন্তু তার আগেই জরুরি খরচ চলে এলো!
ইমারজেন্সি ফান্ড থাকলে এমন স্ট্রেস থেকে মুক্তি!
কেউ ধার চাইলে "I’m Broke!" বলতে পারবেন না!
বন্ধুরা হয়তো সাহায্য করবে, কিন্তু সবসময় কি পারবে?
নিজের খরচের দায়িত্ব নিজেই নিন!
চাকরি চলে গেলে টিকে থাকার জন্য দরকার!
একদিনে নতুন চাকরি পাওয়া সম্ভব না, তাই কিছু টাকা আলাদা রাখাটা বেস্ট আইডিয়া!
ক্রেডিট কার্ডের ঋণের ফাঁদ এড়ানো যাবে!
ইমারজেন্সি ফান্ড না থাকলে অনেকেই ক্রেডিট কার্ডে ধার নেয় – যা পরে আরও বড় সমস্যায় ফেলে দেয়!
প্রো টিপ: নিজেকে একটা "Financial Freedom" গিফট দিন – এটা আপনার ভবিষ্যতের জন্য সিকিউরিটি!
৩। কিভাবে ইমারজেন্সি ফান্ড তৈরি করবেন?
Step 1. লক্ষ্য ঠিক করুন!
প্রথমে ঠিক করুন, আপনার ৩-৬ মাসের খরচ কত?
ধরুন মাসে খরচ ১৫,০০০ টাকা, তাহলে কমপক্ষে ৪৫,০০০ - ৯০,০০০ টাকা জমানোর টার্গেট করুন!
Step 2. ছোট ছোট স্টেপ নিন!
একবারে বিশাল এমাউন্ট জমানোর দরকার নেই!
মাসে ২,০০০-৫,০০০ টাকা করে জমান, দেখবেন কয়েক মাসেই বড় একটা ফান্ড তৈরি হয়ে গেছে!
Step 3. আলাদা অ্যাকাউন্টে রাখুন!
এই টাকা যেন খরচ না হয়ে যায়, তাই আলাদা সেভিংস অ্যাকাউন্টে রাখুন!
চাইলে FD বা অন্য কোনো লিকুইড ফান্ডেও রাখতে পারেন, যাতে মুনাফা আসে!
Step 4. অপ্রয়োজনীয় খরচ কমান!
প্রতি মাসে অযথা খরচের একটা লিস্ট বানান!
যা যা জরুরি না, সেগুলো কেটে দিন! (হ্যাঁ, সেই অপ্রয়োজনীয় সাবস্ক্রিপশনগুলোর কথাই বলছি! )
Step 5. Extra Income থাকলে সেখান থেকে Save করুন!
যদি কোনো বোনাস পান বা ফ্রিল্যান্সিং করেন, সেখান থেকে কিছু অংশ জমিয়ে রাখুন!
প্রতি মাসে সামান্য কিছু হলেও জমান – দেখবেন কিভাবে অল্প সময়ে অনেক কিছু হয়ে যাচ্ছে!
প্রো টিপ: নিজেকে একটা ছোট রিওয়ার্ড দিন যখন একটা নতুন টার্গেট পূরণ করবেন – এতে সেভিংস
মজার হয়ে যাবে!
৪। ইমারজেন্সি ফান্ড রাখার সেরা জায়গা কোথায়?
সাধারণ সেভিংস একাউন্টে রাখলে ভালো!
মোবাইল ব্যাংকিং (নগদ/বিকাশ)-এও রাখতে পারেন, যাতে দরকার হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহার করতে
পারেন!
মিনিমাম ইন্টারেস্ট আসে এমন কোন সেভিংস অপশন দেখতে পারেন!
আজ থেকেই শুরু করুন!
ইমারজেন্সি ফান্ড মানে আপনি নিজেকে ভবিষ্যতের স্ট্রেস থেকে রক্ষা করছেন! যদি এখনই শুরু না করেন, তাহলে একদিন বিপদে পড়ে আফসোস করতে হবে!
আপনি কি আগে থেকেই ইমারজেন্সি ফান্ড রেখেছেন, নাকি এখন শুরু করবেন? কমেন্টে জানান!
আরও টিপস ও ট্রিক্স জানতে Youman কমিউনিটিতে জয়েন করুন। লাইফের সব ফাইনান্স টিপস পেয়ে যাবেন একদম আপনার হাতে!
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন