ক্রেডিট স্কোর জিরো? বানাও একদম ফ্রেশ স্টার্ট থেকে!

ক্রেডিট স্কোর জিরো? বানান একদম ফ্রেশ স্টার্ট থেকে!
ধরুন, আপনি ব্যাংকে গেলেন লোনের জন্য। ব্যাংকের লোক আপনাকে এক নজরে দেখেই বলল, "স্যার, আপনার ক্রেডিট স্কোর নাই!"
আপনি অবাক হয়ে বললেন, "এটা আবার কী?"

ব্যাংকের লোক হালকা হেসে বলল, "ক্রেডিট স্কোর ছাড়া তো লোন দেওয়া যাবে না!"

আপনার মাথায় তখন ক্যাচক্যাচ শব্দ শুরু হয়ে গেছে!

ক্রেডিট স্কোর! লোন! EMI! সুদ!
এত কিছু নিয়ে আগে কখনও ভাবেননি, তাই না? 

শান্ত হন, সব বুঝিয়ে বলছি!


ক্রেডিট স্কোর আসলে কী? 

ক্রেডিট স্কোর হলো আপনার আর্থিক বিশ্বাসযোগ্যতার নম্বর! এক কথায়, ব্যাংক বা ফাইন্যান্সিয়াল প্রতিষ্ঠান দেখে বুঝতে চায়—

আপনি লোন নিলে ঠিকমতো শোধ করবেন তো?
আপনার টাকা ব্যবহারের অভ্যাস কেমন?
আপনি ফাইন্যান্সিয়ালি দায়িত্বশীল কি না?

ক্রেডিট স্কোর সাধারণত ৩০০ থেকে ৯০০ পয়েন্টের মধ্যে হয়। ৭০০+ থাকলে আপনি ফাটিয়ে দিয়েছেন! 

কম থাকলে? ব্যস, ব্যাংক বলবে, "স্যরি, আপনাকে লোন দেওয়া সম্ভব নয়!" 


জিরো থেকে ক্রেডিট স্কোর বানাবেন কীভাবে? 

আপনার যদি কোনো ক্রেডিট হিস্টোরি না থাকে, তাহলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই! আস্তে আস্তে স্মার্টলি গেমপ্ল্যান করলে ৬ মাসেই ভালো স্কোর গড়ে তুলতে পারবেন! 

১️।  একটা ক্রেডিট কার্ড নিন (ডেবিট কার্ড দিয়ে হবে না!)

বেশিরভাগ মানুষ ভাবে, "আমি তো লোন নিইনি, তাহলে আমার স্কোর কেন নেই?"

ভাই/আপু, লোন না নিলেও ক্রেডিট স্কোর দরকার হয়!

প্রথম ধাপ— একটা ক্রেডিট কার্ড নিন!
ব্যাংক বললে "স্কোর নাই, কার্ড দেওয়া যাবে না," তাহলে সিকিউরড ক্রেডিট কার্ড নিন (একটা ছোট ডিপোজিট রেখে)।
ছোট খরচ করুন, সময়মতো বিল পরিশোধ করুন!

🔹 টিপস:

  • বেশি লিমিটের জন্য দরকার নেই, ছোট লিমিটও চলবে।
  • "টাকা আছে, পুরোটা খরচ করি"—এমন ভুল করবেন না!


২️। EMI বা ছোট লোন নিন (শুধু প্রমাণের জন্য!)

ক্রেডিট স্কোর তৈরি করার জন্য একটা ছোট EMI বা লোন নিতে পারেন। ধরুন, একটা মোবাইল কিনলেন EMI-তে!

নিয়মিত পেমেন্ট করুন
একদিনও লেট করবেন না!
শুধু EMI নিয়ে ফান করার জন্য নয়, ডিসিপ্লিন মেনে চলুন!

🔹 টিপস:

  • EMI বেশি নিয়ে ফেলবেন না, যত সহজে শোধ করা যায়, ততই ভালো!
  • প্রথম ৬-১২ মাসের মধ্যে কোনো পেমেন্ট মিস হলে স্কোর নষ্ট হবে!


৩️। ক্রেডিট কার্ডের ৩০% লিমিটের বেশি খরচ করবেন না!

ক্রেডিট কার্ড থাকলেই পুরো লিমিট খরচ করা যাবে না! 

ধরুন, আপনার ১০,০০০ টাকা লিমিট আছে।
তার মানে ৩,০০০ টাকার বেশি খরচ করবেন না!
বেশি খরচ করলে ব্যাংক ভাববে, "এই মানুষটা তো ফিন্যান্সিয়ালি আনস্টেবল!"

🔹 টিপস:

  • সবসময় ৩০% বা তার নিচে রাখুন
  • বেশি দরকার হলে দুইটা কার্ড নিতে পারেন, তবুও একটার লিমিট এক্সসিড করবেন না!


৪️। বিল মিস করলে সর্বনাশ! (Deadline মানতে হবে!)

আপনি যদি বিল মিস করেন, একদিন লেট দেন— ব্যস, স্কোর নামতে থাকবে!

ক্রেডিট কার্ড বিল
EMI পেমেন্ট
যেকোনো লোনের কিস্তি

🔹 টিপস:

  • রিমাইন্ডার সেট করুন
  • বিল কাটার জন্য অটো-পে চালু করে দিন!
  • সবসময় আগেভাগে পেমেন্ট করুন (শেষ দিনে নয়)!

৫️। একসাথে অনেক কার্ড বা লোন নেবেন না! (ব্যাংক সন্দেহ করবে!)

অনেকেই ভাবে, "বেশি কার্ড নিলে স্কোর ভালো হবে!" 

বাস্তবতা হলো—
আপনি যদি একসাথে ৪-৫টা ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করেন, ব্যাংক ভাববে আপনি ফিন্যান্সিয়ালি ডেস্পারেট!
একসাথে অনেক লোন নিলে আপনার স্কোর কমে যাবে!

🔹 টিপস:

  • একটা-দুটো ক্রেডিট কার্ড থাকলেই যথেষ্ট!
  • EMI বা লোনও সামান্য নিন, বেশি না!

কতদিন লাগবে ক্রেডিট স্কোর বানাতে?

এই প্রশ্নটাই সবচেয়ে বেশি আসে—

প্রথম ৬ মাসেই স্কোর উঠতে শুরু করবে!
১ বছর স্মার্টলি চললে ৭০০+ স্কোর পাওয়া সম্ভব!
২-৩ বছর ভালোভাবে মেইনটেইন করলে ৮০০+ স্কোর পাওয়া সম্ভব!

ধৈর্য ধরুন, ডিসিপ্লিন মেনে চলুন, স্কোর নিজে থেকেই ভালো হবে! 

ক্রেডিট স্কোর ভালো থাকলে লাভ কী?

হ্যাঁ, এত কষ্ট করে স্কোর বানালে কি লাভ?

🔹 সহজে লোন পাবেন (বাড়ি, গাড়ি, বিজনেস)!
🔹 কম সুদে লোন নিতে পারবেন!
🔹 উন্নত সুবিধার ক্রেডিট কার্ড পাবেন!
🔹 অনেক জায়গায় ভালো স্কোর থাকলে এক্সট্রা বেনিফিট মেলে (ভিসা, ফিন্যান্সিয়াল অফার ইত্যাদি)!

ভবিষ্যতে টাকা-পয়সার সব সুবিধা চাইলে এখনই স্কোর তৈরি করুন!

আজ থেকেই শুরু করুন!

ক্রেডিট স্কোর শুনলেই ভয় পাওয়ার কিছু নেই!

একটা ক্রেডিট কার্ড নিন
৩০% এর বেশি খরচ করবেন না
সময়ে বিল দিন, EMI মিস করবেন না!

এখন থেকেই শুরু করুন, ৬ মাস পর নিজের উন্নতি দেখে নিজেই অবাক হবেন! 

সিদ্ধান্ত নেওয়া কি কঠিন? ভাবছেন ভুল করলে কী হবে? আরে বাবা, শেখার জন্যই তো Youman !


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

এই বাজেটিং মেথড ফলো করলে আর টাকা শেষ হবে না!

সস্তায় টিকিট কাটার মাস্টার টিপস!

সত্যিকারের হ্যাপিনেস কোথায় পাওয়া যায় ?