লিখলেই মাইন্ড ক্লিয়ার! জার্নালিং করার সহজ গাইড!

লিখলেই মাইন্ড ক্লিয়ার! – জার্নালিং করার সহজ গাইড

একটা খাতা, কিছু কথা আর একটু সাহস

“যে মানুষ নিজের মনের কথা কাগজে লিখতে পারে, সে মানুষটা অর্ধেক বুদ্ধিমান। আর বাকিটা শান্ত।”
এই কথাটা হয়তো হুমায়ূন আহমেদ কোনো চায়ের কাপে ভর দিয়ে বলতেন। আপনি যদি মাঝেমধ্যে এমন অনুভব করেন, "মাথার ভেতর অনেক কিছু ঘুরছে, কিন্তু কারো সাথে বলা যাচ্ছে না"—তাহলে এই লেখাটা আপনার জন্য।

১. জার্নালিং আসলে কী?

ধরা যাক আপনি সকালে উঠে প্রথমেই Instagram খুললেন। কেউ পাহাড়ে যাচ্ছে, কেউ gym-এ, কেউ আবার relationship goals সেট করছে। আপনি চা বানাতে গিয়ে ভাবছেন, "আমার লাইফে কীই বা হচ্ছে?"

এইরকম সময়ে একটা খাতা আর কলম থাকলে খুব কাজ দেয়।
জার্নালিং মানে এই না যে আপনি কবি হবেন, বা লেখক হবেন।
জার্নালিং মানে, আপনি নিজের সাথে একটু কথা বলবেন। মন যা বলছে, সেটা কাগজে নামিয়ে আনবেন।

একটা মাইন্ড-ডাম্পিং প্রসেস। যেমন—মাথা ভরাট হয়ে গেলে Mobile-এর Cache ক্লিয়ার করি, তেমনি মনেও একটা Clear Cache লাগে। এটাই জার্নালিং।

২. কেন করবেন?

a. মুড বুস্ট হয়:
মনের চিন্তা বাইরে বেরিয়ে গেলে, মাথা হালকা লাগে।
যেন কেউ আপনার কথা শুনেছে—যদিও সেই কেউটা আপনি নিজেই।

b. Self-awareness বাড়ে:
আপনি প্রতিদিন কী ভাবছেন, কী নিয়ে টেনশনে আছেন, কীসে খুশি হচ্ছেন—এসব দেখতে দেখতে নিজের একটা ম্যাপ বানাতে পারবেন।

c. Anxiety কমে:
যা নিয়ে stress করছেন, তা কাগজে লিখলে একটু দূরত্ব তৈরি হয়। সমস্যা তখন monster না, manageable হয়ে যায়।

d. Sleep improve হয়:
রাতে ঘুমাতে গেলে চিন্তা এসে কিলবিল করে? আগে ১০ মিনিট লিখে দেখুন। ব্রেইন thank you বলবে।

৩. কী লিখবেন?

অনেকেই ভাবে, জার্নালিং মানে “Dear Diary” টাইপ কিছু লিখতে হবে। মোটেই না।

আপনি লিখতে পারেন—

  • আজকের মুড কেমন

  • কী কী ভালো লাগলো/ খারাপ লাগলো

  • কোন মানুষটা আপনাকে hurt করলো

  • আপনি কী শিখলেন আজ

  • একটা লাইন: “আজ আমি একটু ভালো থাকবো।”

চাইলে bullet point-এ লিখুন।
চাইলে doodle বা emoji দিয়েই বোঝান।
এই খাতায় আপনি VIP. Grammar, spelling ভুল হলে কিছু যায় আসে না।

৪. সময় কবে?

সকাল বেলা? না রাতে? আপনার mood অনুযায়ী।

  • সকালে লিখলে আপনি দিনটা শুরু করবেন fresh মনে।

  • রাতে লিখলে আপনি ঘুমাবেন একটু হালকা মাথায়।

যখনই লিখুন, Regularity রাখলে এর প্রভাব পড়বেই।

৫. কোন খাতায় লিখবেন?

যে খাতাটা দেখলে ভালো লাগে। রঙিন হোক, একরঙা হোক, পুরোনো স্কুলের খাতা হোক—যেটা আপনাকে টানে। চাইলে digital app ব্যবহার করতে পারেন: যেমন Journey, Day One বা GoodNotes।

তবে হুমায়ূন আহমেদ হলে বলতেন,
“কলমের শব্দে একটা অন্যরকম therapy আছে।”

৬. কিছু হেল্পফুল Prompt

যদি বুঝতে না পারেন কী দিয়ে শুরু করবেন, তাহলে নিচের কিছু prompt ট্রাই করুন—

  • আজকে আমার মাথায় যা ঘুরছে

  • আমি এখন সবচেয়ে grateful যেটার জন্য, সেটা হলো

  • আমি চাই না আবার যেন

  • আমি আজকে নিজেকে এই কথাটা মনে করাতে চাই

  • ভবিষ্যতের আমি যদি আমাকে কিছু বলতো, কী বলতো?

৭. হুমায়ূনীয় ভাবনা দিয়ে শেষ করি:

“সবচেয়ে বিশ্বস্ত শ্রোতা একটা খাতা। সে কিছু বলে না, কিন্তু আপনি যা বলবেন, তা মুছে দেয় না।”

আপনি যদি দিনে মাত্র ৫ মিনিট সময় দেন, তাহলে নিজের মনের সাথে একটা বন্ধুত্ব তৈরি হবে। ধীরে ধীরে Anxiety কমবে, Sleep বাড়বে, আর Self-awareness তো থাকবেই।

লেখা শুরু করুন। খাতা খুলুন। আর ভাবুন—আজ আমি নিজের কথা কাকে বলবো? উত্তর: নিজেকেই।

জীবনের প্রতিটা সিদ্ধান্ত যেন হয় একটু বুদ্ধির ছোঁয়ায়—চলুন, Youman-এর সাথে শিখি আর ভাবি !


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগে কেন? সলিউশন এখানে !

ভুয়া অফার থেকে নিজেকে বাঁচানোর স্মার্ট উপায় !

যে কৌশলে সহজে পড়া মনে রাখতে পারবেন