ফিলিংস ইগনোর না, বরং কন্ট্রোল করা শিখো!
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
ফিলিংস ইগনোর না, বরং কন্ট্রোল করা শিখো!
ইমোশন মানেই দুর্বলতা না, একটু বুদ্ধির খেলা মাত্র
“মনের কথা বোঝা যায় কই? অনেক সময় হাসির মুখের আড়ালে কান্না থাকে।”
হুমায়ূন আহমেদ হয়তো এই লাইনটা লিখতেন কোনো গল্পের একগুঁয়ে, কিন্তু গভীর চরিত্রের মুখে।
আপনিও কি মাঝে মাঝে এমন ফিল করেন—ভেতরে ঝড়, বাইরে ঠান্ডা?
নিজের ফিলিংসগুলোকে কন্ট্রোল করতে চান, কিন্তু আবার চাপা দিতে গিয়ে একসময় বিস্ফোরণ ঘটে?
চলুন, আজকের গল্পটা ফিলিংস নিয়ে—তবে suppress না করে smart handling-এর কায়দা।
Step 1: Feeling টাকে নাম দিয়ে দিন
একজন ছোটবেলায় নাম না জানলে কোনো জিনিস দেখলেই বলে উঠতো, “এই যে ওইটা... ওইটা…”
ঠিক এমনি হয় ইমোশনের ক্ষেত্রেও।
আপনি যদি জানেন না আপনি ঠিক কী ফিল করছেন—রাগ, কষ্ট, frustration, হতাশা, না অভিমান—তাহলে আপনি কন্ট্রোল করবেন কীভাবে?
কাজ কী?
মনকে বলেন:
"এই মুহূর্তে আমি... বিরক্ত",
"আমি কষ্ট পেয়েছি",
"আমি হিংসে করছি",
"আমি ভয় পাচ্ছি"।
নাম দিলেই ইমোশনটা হালকা লাগে। এটা verified brain hack।
Step 2: Feelings মানে 'Truth', তবে সবসময় 'Action Plan' না
আপনি যদি রাগান্বিত হন, সেটা সত্যি। কিন্তু তার মানে এই না যে, আপনাকে এখনই Facebook status দিতে হবে বা কারো উপর ঝাড় দিতে হবে।
হুমায়ূনীয় টোনে বললে —
“ভালোবাসা থাকলে রাগ হবে। কিন্তু ভালোবাসা টিকিয়ে রাখতে হলে রাগে দাঁত কামড়ে হাসতে হয়।”
কাজ কী?
নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, “এই ফিলিংটার পেছনে কারণ কী?”
কারো কথায় hurt হলে—ব্যথাটা acknowledge করুন, কিন্তু revenge পোস্ট না লিখে এক কাপ চা খেয়ে নিন।
Step 3: Suppress করলে কী হয়?
আপনি ফ্রিজে কোক রাখতে পারেন, কিন্তু ফ্রিজে রাগ রাখলে সেটা একদিন খুলেই বের হবে—বিস্ফোরণে।
Suppress করা মানে হলো ইমোশনকে না বুঝে ignore করে ফেলা।
ফলাফল? Anxiety, mood swing, mental fog।
Gen Z দুনিয়ায় বলা হয়, "Fake it till you make it."
কিন্তু feelings-এর ক্ষেত্রে, সেটা dangerous.
কাজ কী?
নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, “আমি আসলে কী থেকে পালাচ্ছি?”
ফেলিংসকে allow করুন, তবে allow করে শান্তভাবে observe করুন।
Step 4: Simple কায়দাগুলো ট্রাই করুন
-
Write it out: মাথার ঝড় কাগজে লিখে ফেললে শান্তি আসে।
-
Breathe in – Breathe out: রাগ উঠলে ৪ সেকেন্ডে শ্বাস নিন, ৪ সেকেন্ডে ছাড়ুন। repeat ৫ বার।
-
ভালো কাউকে বলেন: এমন একজন দরকার যাকে বললে আপনি judged feel করবেন না।
-
“আমার যা লাগছে, সেটা ঠিক” – এটা মনে রাখুন।
আপনি robot না—emotionless হওয়া কোনো ট্যালেন্ট না।
জীবনপাঠ
“মানুষ সবসময় বুঝে উঠে না, সে কেন কাঁদছে। কখনো কাঁদে পুরোনো স্মৃতির জন্য, কখনো ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তায়। কিন্তু কাঁদাটাই শেষ কথা না, অনুভব করাটাই আসল।”
আপনার ভেতরের feelings-গুলো treasure chest-এর মতো।
চাপা দিলেই তা ঝিনুকের ভেতর মুক্তার মতো থাকেনা, বরং বিষ হয়ে যায়।
ইমোশন কন্ট্রোল মানে নিজেকে রোবট বানানো না।
আপনি মানুষ—অনুভব করবেন, কষ্ট পাবেন, ভালোবাসবেন, রাগ করবেন।
কিন্তু সবকিছুর মাঝে একটা ব্যাপার দরকার—নিজের সঙ্গে সাহসী ও সততা।
নিজের মনকে শত্রু না বানিয়ে, বন্ধু বানান। কারণ, আপনি ছাড়া কেউ জানে না আপনি আসলে কী ফিল করছেন।
পৃথিবীটা তো বিশাল, শেখারও শেষ নেই! আসুন, Youman-এর সাথে প্রতিটা দিন নতুন কিছু শিখি!
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন