বিপদমুক্তির রানওয়ে ।
টাকা কামানো যতটা কঠিন, ঠিকমতো খরচ আর সেভিংস ম্যানেজ করা ঠিক ততটাই ইম্পর্ট্যান্ট। কারণ, যেকোনো সময় কোম্পানি বন্ধ হয়ে যেতে পারে, বসের সাথে ঝামেলা হতে পারে, এমনকি নিজের চয়েজেই হয়তো চাকরি চেঞ্জ করতে চাইবেন। এসব সিচুয়েশনে এক্সট্রা কনফিডেন্স দেওয়ার জন্য লাগবে একটা সলিড ‘রানওয়ে’। চলুন জেনে নেই এই রানওয়ে কী এবং কীভাবে বানানো যায়।
রানওয়ে আসলে কী?
একটা ফিনান্সিয়াল রানওয়ে হচ্ছে ছয় মাসের বেসিক খরচের সমান টাকা সেভ করে রাখা, যাতে চাকরি বদলানো বা ছোটখাটো কোনো রিস্ক নেয়া সহজ হয়। এটা একটা সেফটি নেট যা চাকরি ছাড়ার পরেও ছয় মাস আরাম করে চলার জন্য হেল্প করবে।
কিভাবে বানাবেন এই রানওয়ে?
স্টেপ ১: বেসিক খরচ হিসাব করুন
প্রথমেই বুঝে নিন আপনার বেসিক খরচ কী। বাসা ভাড়া, ইলেকট্রিসিটি বিল, খাবার—এই জিনিসগুলো ছাড়া তো চলবে না, তাই এগুলোকে ফিক্সড খরচ হিসেবে ধরুন। পুরো মাসের বেসিক খরচ বের করে সেটাকে ৬ দিয়ে গুণ করলেই পেয়ে যাবেন আপনার রানওয়ে এমাউন্ট।
স্টেপ ২: ব্যাংকের ই এম আই
আপনার কোনো লোন থাকলে, তার মান্থলি ইন্সটলমেন্টও রানওয়ের মধ্যে ধরুন। যদি ৬ মাস লোনের ইন্সটলমেন্ট কভার করতে পারেন, তাহলে কোনো চাপ ছাড়াই মাসের পর মাস চলে যাবে।
স্টেপ ৩: ক্রেডিট কার্ডের সব বিল ক্লিয়ার করুন
রানওয়ে বানানোর সময় সব ক্রেডিট কার্ডের বিল ক্লিয়ার রাখুন। কার্ড ক্যানসেল করতে হবে না, কিন্তু সব পাওনা যেন পেইড থাকে। প্রয়োজনে এই কার্ডগুলো কাজে দেবে।
এই তিনটা ইজি স্টেপ ফলো করলেই তৈরি হয়ে যাবে আপনার রানওয়ে। তখন নিজের ফিউচারের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকবে আপনার হাতে, চিন্তা ছাড়াই ঝাঁপিয়ে পড়তে পারবেন যেকোনো নতুন এডভেঞ্চারে।
আরও টিপস এবং বেসিক মানি ম্যানেজমেন্ট জানতে Youman কমিউনিটির সাথে থাকুন!
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন