ঝামেলা কমান নিমিষেই!

স্ট্রেস থেকে মুক্তি: আপনার লাইফের কন্ট্রোল পেতে কী করবেন?

স্ট্রেস মানেই শুধু মানসিক নয়, শারীরিক সমস্যাও হতে পারে। যদি স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ না করেন, তাহলে হৃদযন্ত্রের ওপর চাপ পড়ে এবং দূর্বল হয়ে যেতে পারে আপনার সেলফ-কন্ট্রোল। আজকে আলোচনা করবো, কিভাবে স্ট্রেস থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

স্ট্রেসের দুটি কারণ

স্ট্রেস সাধারণত দুই কারণে হয়:

  1. আর্থিক সমস্যা

  2. ক্যারিয়ার বা রিলেশন নিয়ে সমস্যা

আপনি যদি কখনও নিজের চাহিদা পূরণ করতে না পারেন, তাহলে চিন্তা করার একটা চাপ চলে আসে। এর ফলে, আপনি প্রায়ই স্ট্রেসফুল হয়ে পড়েন।

স্ট্রেসের প্রভাব

স্ট্রেস শরীরে খুবই মন্দ প্রভাব ফেলে। আপনি যখন টেনশনে থাকেন, তখন হার্টের ওপর প্রেসার পড়ে, আর কিছু সময়ের জন্য রুড আচরণ করতে পারেন আশপাশের মানুষের সাথে। এতে আপনার কাছের মানুষরা কষ্ট পায়।

কীভাবে স্ট্রেস কমাবেন?

  1. চাকরি চলে গেলে দুশ্চিন্তা করবেন না –
    স্ট্রেসের অনেকটাই চলে যায় যদি আপনি নতুন চাকরি খুঁজে পান। দুশ্চিন্তা না করে, ভালো কিছু খুঁজতে থাকুন। স্ট্রেস কমবে, আর আপনি আরো ফোকাস থাকতে পারবেন।

  2. রিলেশনশিপে প্রাধান্য দিন –
    যদি পার্টনারের সাথে কোনো বুঝাবুঝি থাকে, তাহলে তাদের প্রায়োরিটি দিয়ে কথা বলুন। একে অপরের প্রতি ফোকাস রাখলে, স্ট্রেসটা অনেকটা কমে যাবে।

  3. নিজেকে সময় দিন –
    স্ট্রেস যদি জীবনের অংশ হয়ে যায়, নিজেকে কিছু টাইম দিন। বন্ধু-বান্ধবদের সাথে ফোনে কথা না বলে সরাসরি মিলিত হন। এটা আপনাকে অনেকটা সাহায্য করবে এবং মন শান্ত করতে সহায়ক হবে।

স্ট্রেস ফ্রি হওয়ার পথে

স্ট্রেস হতে হবে না—আপনার জীবনে একটু শান্তি আর ইনপুটে ভালো বিষয় যোগ করতে পারেন। যখন মনে হবে স্ট্রেস বাড়ছে, নিজেকে মনে করিয়ে দিন, আপনি এটা পারবেন।

আরেকটা জিনিস, আপনার পার্সোনাল হেলথ, মেন্টাল হেলথ, ক্যারিয়ার, ফাইনান্স, ম্যানহুড নিয়ে আরও জানতে চান? Youman কমিউনিটির সদস্য হন, এবং জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত ভালোভাবে কাজে লাগান! ফলো করুন, এবং শান্ত জীবন যাপন করুন! 


মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগে কেন? সলিউশন এখানে !

ছবি
  ভোরে ঘুম থেকে উঠে মাথা ধরে। দুপুরে চোখ লেগে আসে। রাতে বিছানায় গিয়েও ঘুম আসে না। এমনটা হলে ভাববেন না, আপনি একা। আপনার ক্লান্তি হয়তো ঘুমের ঘাটতির জন্য না। এর পেছনে লুকিয়ে আছে অদেখা কিছু কারণ —যেগুলো আপনিও ধরতে পারেননি। চোখে পাণ্ডা, হাতে কফির কাপ, আর মনে একটা দীর্ঘ হাই— এই জীবন তো আপনি চায়নি। তাহলে ক্লান্তি কেন পিছু ছাড়ে না? চলুন খুঁজে বের করি আসল কারণ , আর জানি — কীভাবে এই ক্লান্তির ছায়া থেকে বের হয়ে আবার চাঙ্গা হওয়া যায়।  ১. ক্লান্তি মানেই শরীর না, এটা মনেরও ব্যাপার অনেকেই ভাবে, ঘুম কম হলেই ক্লান্তি আসে। হয়তো ঘুম ৭ ঘণ্টা হয় ঠিকই, তবু সকালবেলা ঘুম ভাঙে গা-মাথা ভেঙে। এটার কারণ হতে পারে মেন্টাল ওভারলোড । দিনভর অনেক কিছু ভাবা, কাজের চিন্তা, লোকের কথা, আর ভেতরে জমে থাকা না বলা কথাগুলো — এগুলোও শরীরের মতোই শক্তি খেয়ে ফেলে। মন চুপচাপ কাঁদে, আর শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়। ২. পানি কম খাওয়ার পেছনে এত বড় শাস্তি? একটা ছোট্ট তথ্য দিই — আপনার শরীরের প্রায় ৬০% পানি। আর এই পানি কমে গেলে আপনার এনার্জি লেভেলও এমনভাবে পড়ে যায়, যেমন ফোন ২০% চার্জে গুটি গুটি চলে। দিনে অন্তত ৬-৮ গ্লাস পানি ...
আরও পড়ুন

ভুয়া অফার থেকে নিজেকে বাঁচানোর স্মার্ট উপায় !

ছবি
ভুয়া অফার থেকে নিজেকে বাঁচানোর স্মার্ট উপায়! আপনি নিশ্চয়ই এমন কারও গল্প শুনেছেন — “ভাই, সস্তায় থাইল্যান্ড ট্যুর! মাত্র দশ হাজার টাকায় সবকিছু! পাসপোর্ট ধরিয়ে দিয়েই চলে গিয়েছিলাম… তারপর বুঝলাম, ওটা আসলে ট্যুর না, ট্র্যাপ।” ঘোরাঘুরির আনন্দ তখনই পূর্ণ হয়, যখন আপনি ঠকেন না। আর ঠকতে কেউ চায় না — আপনি তো নিশ্চয়ই চান না, ফিরতি ট্রেনের টিকিটের বদলে হাতে পান একটা ফেক রিসিট আর গালভরা অনুতাপ। তাই আজকে আমরা একটু বাস্তবিক কথা বলবো — কীভাবে ভুয়া ট্র্যাভেল অফার, স্ক্যাম আর চালাকি থেকে বাঁচবেন। একদম Boss-মুডে! ১. “সস্তা” মানে সবসময় “স্মার্ট” না আপনার ইনবক্সে যদি আসে – “মাত্র ৫,৯৯৯ টাকায় মালদ্বীপ! ফ্লাইট + হোটেল + খানা + ঘোরাঘুরি – সব ফ্রি ফ্রি!” তাহলে একবার চুপ করে চায়ের কাপে চুমুক দিন। টিপস: অফার যদি “বেশি ভালো” লাগে, তাহলে সেটা হয়ত সত্যি না ট্রাভেল এজেন্সির রিভিউ চেক করুন পেমেন্ট করার আগে সব কিছু লিখিত নিন (ইমেইল বা ম্যাসেজে) ২. নকল গাইড = নকল অভিজ্ঞতা আপনি কোথাও ঘুরতে গেছেন, এক লোক এসে বললো – “আমি গাইড, সব জায়গা ঘুরিয়ে দেখাবো একদম লোকাল প্রাইসে।” তারপর ঘোরাঘুরির বদলে শুরু হলো জিনিসপত্রের দোকান দেখান...
আরও পড়ুন

যে কৌশলে সহজে পড়া মনে রাখতে পারবেন

ছবি
মেমোরি হ্যাকস – পড়া এমনভাবে মনে রাখুন, যেন মাথায় আলাদা হার্ডডিস্ক বসানো আছে রাত ৩টা বাজে। আপনি বইয়ের ওপর হেলে ঘুমাচ্ছেন, পাশে নোট খোলা। হঠাৎ ঘুম ভেঙে মনে হলো – “আমি কি কিছুই মনে রাখতে পারি না?” মন খারাপ করবেন না। আপনার মাথা ঠিকই আছে। শুধু তাকে চালাতে হবে সঠিক কৌশলে। এই লেখায় আমি আপনাকে বলব এমন কিছু মেমোরি হ্যাকস, যেগুলো শুনলে মনে হবে, “আরে! এতদিন এগুলা জানতাম না কেন?” ১. Active Recall – প্রশ্ন করুন, উত্তর মাথা নিজেই দেবে এই কৌশলটা একটু রহস্যময় শোনায়। কিন্তু সোজা কথায়, আপনি যখন নিজের পড়া নিজেকে প্রশ্ন করে বলেন, তখন মস্তিষ্ক ভাবে – "ওহ! এটা তো দরকারি, মনে রাখতে হবে।" যেমন ধরুন, আপনি ইতিহাস পড়ছেন। পড়ার শেষে চোখ বন্ধ করে নিজেকে প্রশ্ন করুন – "পলাশীর যুদ্ধ কেন হয়েছিল?" "কে হেরে গিয়েছিল?" প্রথমবার উত্তর মনে না আসলেও, বারবার করলে মাথার ভেতরে এক ধরনের চোরাগলি তৈরি হয়। সেই গলি দিয়েই তথ্য হেঁটে হেঁটে একসময় স্থায়ী হয়ে যায়। ২. Spaced Repetition – মনে রাখার জন্য ভুলতে দিন একবার পড়ে ভুলে যান। তারপর আবার মনে করান। এই ভুলে যাওয়ার এবং মনে করানোর মধ্যেই লুকিয়ে আছে দী...
আরও পড়ুন