টক্সিক অফিস কীভাবে স্মুথলি ছাড়বেন?
আপনার বস কি মুড সুইংয়ে ভোগে? কলিগদের ড্রামা অফুরন্ত? কিংবা মিটিং মানেই "এখান থেকে বের হয়ে আরেকটা মিটিং!" – তাহলে ভাই, আপনি একটা টক্সিক অফিসের পুরোদস্তুর ভিকটিম!
কিন্তু সমস্যা কী জানেন ?
চাকরি ছাড়তে চাই, কিন্তু ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারেও দাগ ফেলতে চাই না!
তাহলে কীভাবে স্মুথলি সরে পরবো, যাতে একদিকে নতুন সুযোগ আসে, অন্যদিকে পুরনো অফিসেও ভালো ইমেজ থাকে?
এখন ‘I QUIT’ মাইক্রোফোন ড্রপ না করে, একটু কৌশলী হওয়া লাগবে! দেখে নেই কীভাবে স্মার্টলি টক্সিক অফিস থেকে বের হওয়া যায়!
Step 1: আগে নিশ্চিত হন – অফিস আসলেই টক্সিক কিনা!
আগে বুঝতে হবে, আপনি কি আসলেই একটা রেড ফ্ল্যাগ অফিসে আছেন? নাকি জাস্ট একটু বেশি বিরক্ত লাগছে?
টক্সিক অফিস চেনার সিম্পল কিছু সিগন্যাল:
১। ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালান্স বলতে কিছুই নেই – ছুটির দিনেও কাজের মেসেজ আসছে!
২। বস = Walking Red Flag – কথায় কথায় খোঁচা দেওয়া, ক্রেডিট মেরে খাওয়া, আর শুধু মাইক্রোম্যানেজ!
৩। কলিগ = অফিসের রিয়েলিটি শো প্রতিযোগী – শুধু গসিপ, ড্রামা আর পলিটিক্স!
৪। অস্থিরতা, স্ট্রেস, আর অল্পতেই রাগ! – কাজ করতে গিয়ে যেন একটা সার্কাস শো পারফর্ম করতে হচ্ছে!
যদি এই সব মিল খায়, তাহলে ব্রো, এখান থেকে বের হওয়াই বেস্ট ডিসিশন!
Step 2: নতুন চাকরি আগে নিশ্চিত করা!
টক্সিক অফিসে আর এক মুহূর্ত থাকতে চাই না – বুঝলাম! কিন্তু ইমোশনাল ডিসিশন নিয়ে রিজাইন দিয়ে বসলে বিপদ!
তাই নতুন জব আগে ফিক্স হোক , তারপর ধীরে ধীরে বাই বাই বলেন !
১। নতুন জব খুঁজতে LinkedIn-এ কানেকশন বাড়ান
২। ক্যারিয়ার আপগ্রেডের জন্য স্কিল ডেভেলপ করেন
৩। এক্সিস্টিং নেটওয়ার্ক ইউজ করে রেফারেন্স খোঁজেন
৪। ইন্টারভিউ পাস করে অফার লেটার পাওয়ার পরই রিজাইন দেওয়া উচিত ।
তবে মনে রাখবেন – নতুন কোম্পানিটাও যেন টক্সিক না হয়! না হলে এক টক্সিক থেকে আরেক টক্সিকে হপিং করতে করতে একদিন অফিসফোবিয়া হয়ে যাবে!
Step 3: স্মার্টলি রিজাইন করবেন – ড্রামা ছাড়া!
“আমি তো কালকে থেকেই আসবো না!” – এটা বললে কাল থেকে চাকরিই থাকবে না!
“আমি একটা ভালো সুযোগ পেয়েছি, তাই ট্রানজিশন স্মুথ করতে চাই” – এটা বললে বস রাগলেও কিছু করার থাকবে না!
স্মার্ট রিজাইন দেওয়ার কিছু টিপস:
✔ ১ মাস আগে রিজাইন নোটিশ সাবমিট করা (মানে জাস্ট একদিনেই হাওয়া হয়ে না যাওয়া !)
✔ একটা ভালো ‘বিদায় ইমেইল’ লেখা (যাতে ভবিষ্যতে যোগাযোগ রাখতে পারেন!)
✔ কাজগুলো ঠিকঠাক বুঝিয়ে দিয়ে যাওয়া (না হলে আপনার পরে আসা মানুষ আপনার নামে বদনাম করবে!)
আর হ্যাঁ, বসকে গালি দিয়ে রিজাইন লেটার লিখবেন না!
Step 4: প্রফেশনালিজম ধরে রাখা – গেটওয়ে ওভার ব্রিজ পাড় হবেন না!
যতই টক্সিক হোক, এক্স-বস একদিন রেফারেন্স হিসেবে দরকার হতে পারে!
তাই একটা ভালো ইমেজ রেখে বের হওয়া !
কী কী করবে না:
১। LinkedIn-এ লিখবেন না – "Finally escaped from that toxic place!"
২। কেউ আগ্রহ নিয়ে জিজ্ঞেস করলে বসের খারাপ দিকগুলো গসিপ করবেন না!
৩। ইনস্টাগ্রামে ‘I QUIT’ মুডে মিম বানিয়ে পোস্ট দিবেন না!
একটা স্মার্ট ওয়ার্কিং পারসন হয়ে বের হন! কারণ ক্যারিয়ার ছোট দুনিয়া – একদিন ওই লোকজনকেই হয়তো আবার কোথাও না কোথাও দেখতে পাবেন !
Step 5: নতুন চাকরিতে পুরনো ভুল রিপিট না করা !
একটা জিনিস মাথায় রাখা – টক্সিক অফিসে চাকরি করা একটা এক্সপেরিয়েন্স, কিন্তু ওই একই ভুল দ্বিতীয়বার করা বোকামি!
✅ নতুন অফিসের কালচার, বস, কলিগদের মুড আগেই বুঝে নেওয়া !
✅ ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালান্স থাকা দরকার!
✅ রেড ফ্ল্যাগ আগে থেকেই ধরার অভ্যাস করা !
কারণ একটা কথাই সত্যি – লাইফ খুব ছোট, টক্সিক ওয়ার্কপ্লেসের গ্যাসে সময় নষ্ট করার জন্য না!
Final Verdict: Leave Like a Boss!
✅ চাকরি ছাড়েন, কিন্তু প্রফেশনালিজম ছাড়বেন না!
✅ টক্সিসিটি এভয়েড করেন, কিন্তু নিজের ফিউচার প্ল্যান করেই এগিয়ে যান!
✅ ড্রামা বাদ দিয়ে স্মার্টলি সরে পড়েন – কারণ লাইফ ইজ মুভিং ফরোয়ার্ড, নট ব্যাকওয়ার্ড!
তাই স্মার্টলি রিজাইন দেন, হাওয়ার মতো মিলিয়ে যান – আর ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নিয়ে যান!
এই রকম আরও মজার মজার বিষয় জানতে Youman কমিউনিটির সদস্য হতে পারেন। আমাদের ফলো করুন এবং জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে ভালো ভাবে কাজে লাগান।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন