ইনভেস্টমেন্ট শুরু করতে চাইলে কোথা থেকে শুরু করবেন ?
একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন বেতন আসার আগেই পকেট ফাঁকা! মাস শেষে সব টাকা উধাও, সেভিংসের নামগন্ধ নেই!
এই মুহূর্তে আপনার হাতে যদি একটু ইনভেস্টমেন্ট থেকে আসা এক্সট্রা ইনকাম থাকতো? কী দারুণ হতো, তাই না?
তাই, "টাকা শুধু আয় করলেই হবে না, টাকা বানাতেও জানতে হবে!" – এই ম্যাজিকটাই ইনভেস্টমেন্ট করতে শেখাবে!
আজ আমরা জানবো ইনভেস্টমেন্ট শুরু করার সবচেয়ে সহজ ও বুদ্ধিমান উপায়গুলো!
১। ইনভেস্টমেন্ট মানেই কি লাখ লাখ টাকা লাগবে?
না! ইনভেস্টমেন্ট মানে বিশাল এমাউন্ট দরকার – এই ভুল ধারণাটা আগে বাদ দিন!
১,০০০ টাকা দিয়েও ইনভেস্টমেন্ট শুরু করা যায়!
যে টাকা আপনি অপ্রয়োজনীয় খরচে উড়িয়ে দেন, সেটাই যদি কাজে লাগান?
ইনভেস্টমেন্ট মানে টাকা এমন জায়গায় রাখা, যেটা সময়ের সাথে সাথে বাড়বে!
তাহলে আসুন, দেখে নেই স্মার্ট ও লো-রিস্ক ইনভেস্টমেন্ট অপশন!
২। ইনভেস্টমেন্টের ৫টি সহজ ও নিরাপদ অপশন
ফিক্সড ডিপোজিট (FD) – সহজ ও ঝুঁকিহীন!
যদি আপনি লো-রিস্ক চান, তাহলে ফিক্সড ডিপোজিট (FD) হতে পারে বেস্ট চয়েস!
ব্যাঙ্ক বা মোবাইল ব্যাংকিং (নগদ/বিকাশ)-এ FD ওপেন করতে পারেন!
প্রতি মাসে বা বছর শেষে ইন্টারেস্ট পাবেন!
টাকা হারানোর ভয় নেই, শুধু সময়ের সাথে একটু বাড়বে!
যদি আপনি বেশি লিকুইডিটি চান, তাহলে স্বল্প-মেয়াদী FD বেছে নিন!
শেয়ার মার্কেট – রিস্ক আছে, কিন্তু রিটার্নও বেশি!
শেয়ার মার্কেটে ইনভেস্টমেন্ট মানে ভালো কোম্পানির অংশীদার হয়ে যাওয়া!
অল্প টাকাতেও শেয়ার কেনা যায়, কিন্তু জেনেশুনে করতে হবে!
ইনভেস্ট করার আগে বেসিক স্টাডি করুন, ভালো কোম্পানি চেক করুন!
সব টাকা একসাথে ইনভেস্ট করবেন না, ধাপে ধাপে স্টক কেনার স্ট্র্যাটেজি নিন!
মিউচুয়াল ফান্ড – ঝামেলা ছাড়াই স্মার্ট ইনভেস্টমেন্ট!
যদি শেয়ার মার্কেট বুঝতে না পারেন, তবুও ইনভেস্ট করতে চান, তাহলে মিউচুয়াল ফান্ড বেস্ট অপশন!
এখানে আপনার টাকা প্রফেশনাল ইনভেস্টররা ম্যানেজ করবে!
কম রিস্কে, বেশি স্ট্যাবিলিটি পেতে চাইলে এটা ভালো অপশন!
লো-রিস্ক ওয়েল ডাইভার্সিফায়েড ফান্ড বেছে নিন!
গোল্ড ইনভেস্টমেন্ট – ভবিষ্যতের জন্য সেফ চয়েস!
সোনার দাম সবসময় বাড়তে থাকে, তাই এটা লং-টার্ম ইনভেস্টমেন্টের জন্য ভালো!
এখন ডিজিটাল গোল্ড বা গোল্ড ETF-এও ইনভেস্ট করা যায়!
নিরাপদ, রিটার্ন ভালো – তাই গোল্ড সবসময় ভালো ইনভেস্টমেন্ট!
গোল্ড ফিজিক্যালি না কিনে, ই-গোল্ড বা গোল্ড ETF-এর দিকে নজর দিন!
রিয়েল এস্টেট – একটু বড় ইনভেস্টমেন্ট, কিন্তু লাভ বেশি!
জমি, ফ্ল্যাট, অথবা বাণিজ্যিক জায়গায় ইনভেস্ট করলে ভালো রিটার্ন আসতে পারে!
যদিও এটা বড় ইনভেস্টমেন্ট, কিন্তু ভবিষ্যতের জন্য স্মার্ট চয়েস!
যদি হাতে অল্প টাকা থাকে, তাহলে জমির প্লট কেনার দিকে নজর দিন!
৩। নতুন ইনভেস্টরদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস!
রিস্ক ম্যানেজ করুন! – কখনো সব টাকা এক জায়গায় ইনভেস্ট করবেন না!
স্টাডি করুন! – শেয়ার বা মিউচুয়াল ফান্ডে ঢোকার আগে ভালোভাবে জানুন!
লং-টার্ম চিন্তা করুন! – ইনভেস্টমেন্ট মানে ধৈর্য! রাতারাতি বড় লাভের চিন্তা বাদ দিন!
ছোট থেকে শুরু করুন! – অল্প টাকায় শুরু করে ধীরে ধীরে বাড়ান!
কখনো ধার করে ইনভেস্ট করবেন না! – নিজের অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ইনভেস্ট করুন!
আজই ইনভেস্টমেন্ট শুরু করুন!
আপনার টাকা যদি শুধু ব্যাংকে পরে থাকে, তাহলে সেটা নষ্ট হচ্ছে! বরং স্মার্টলি ইনভেস্ট করুন, ভবিষ্যতে টেনশন ফ্রি থাকুন!
আপনার কি আগে থেকেই ইনভেস্টমেন্ট আছে, নাকি নতুন শুরু করবেন? কমেন্টে জানান!
কমেন্টে জানিয়ে দিন আপনি কোথায় ইনভেস্ট করেছেন আর মানি ম্যানেজমেন্টের আরও টিপস পেতে Youman কমিউনিটিতে জয়েন করুন!
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন