পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং কিভাবে ক্যারিয়ারে ম্যাজিক আনবে?
তুমি যখন একটা ইন্টারভিউতে ঢোকো, তখন শুধু সিভিটা ঢুকে না।
তোমার হাঁটা, কথা, চোখের ভাষা, মুচকি হাসি—সব কিছু একসাথে ঢোকে।
এই পুরো ব্যাপারটাই একধরনের “তুমি ব্র্যান্ড”।
হ্যাঁ, তুমি নিজেই একটা ব্র্যান্ড।
নাহ্, স্যামসাং বা নাইকির মতো না,
তুমি হচ্ছো এমন একটা ব্র্যান্ড যাকে মানুষ মনে রাখবে… অথবা একদম ভুলে যাবে।
শুরু করি একটু গল্প দিয়ে…তোমার নাম ফারহান।
পড়াশোনায় মোটামুটি। ইংলিশ ভালো বলতে পারো, টাইপও দ্রুত।
তবু চাকরি হচ্ছে না।
দুই বন্ধুর CV এক, কলেজ এক, গ্রেড এক—
তবু একজন চাকরি পায়, আরেকজন ফেরত আসে “আমরা জানাবো” শুনে।
কেন জানো?
কারণ একজন জানে নিজেরে কীভাবে “উপস্থাপন” করতে হয়।
সে শুধু কে আছে তা না, সে কেমন করে নিজেকে তুলে ধরে—এইটাও কাজে লাগে।
এটাই পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং।
পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং মানে কী?
পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং মানে তুমি নিজেকে এমনভাবে তৈরি করো, যেন অন্যেরা তোমার নাম শুনে বলে—
“এই ছেলেটা তো Creative!”
“এই মেয়েটা ভীষণ ডেডিকেটেড!”
এটা কিন্তু ফেক হওয়া না।
এটা হচ্ছে নিজের আসল version-টা polish করা,
যেন তোমার presence-ই একটা ছাপ ফেলে।
হুমায়ূন আহমেদ একবার বলেছিলেন,
"মানুষের সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে—সে নিজেকে কীভাবে দেখে।"
তুমি যদি নিজেকে ordinary ভাবো, তখন তাইই থাকবে।
কিন্তু তুমি যদি নিজেকে বিশ্বাস করো—“আমি পারি”,
তাহলে একদিন হয়তো YouTube-এর thumbnail-এ তোমার মুখ থাকবে—“From rejection to recognition!”
পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং দিয়ে কী কী হয়?
✅ ১. ইন্টারভিউতে আলাদা করে মনে থাকে
সবাই যদি বলে—“আমি hardworking”,
তুমি বলবে—“আমি deadline মেটাতে Netflix বন্ধ করে দিই!”
এই কথাটাই তোমাকে আলাদা করে দেবে।
✅ ২. সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রফেশনাল প্রেজেন্স
LinkedIn, Facebook, এমনকি Instagram-এও তুমি কীভাবে কথা বলো, কী শেয়ার করো—
এইসবই ধীরে ধীরে তোমার ব্র্যান্ড গড়ে তোলে।
একবার ভাবো,
দুইজন ছেলে—একজন প্রতিদিন only selfie দেয়,
আরেকজন কাজের টিপস, নিজের স্কিল শেয়ার করে—
হায়ারিং ম্যানেজার কাকে মনে রাখবে?
✅ ৩. বন্ধু বান্ধবরাও রেফার করতে চায়
তুমি যদি এমন একটা vibe দাও—“এই ছেলে/মেয়ে জানে সে কী করছে”,
তাহলে বন্ধু-বান্ধবও বলবে—“ওরে একবার দেখ, ভালো কাজ করে।”
কিভাবে শুরু করবে পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং?
১. নিজেকে চিনো
তোমার স্কিল কী, তোমার প্যাশন কী, তুমি আসলে কী হতে চাও—এই জিনিসগুলো আগে পরিষ্কার করো।
২. অনলাইনে প্রফেশনাল হও
LinkedIn প্রোফাইল সাজাও।
একটা ভালো প্রোফাইল পিক, একটা interesting bio, কিছু achievement শেয়ার করো।
অন্য কেউ গুগলে তোমার নাম লিখলে, কিছু তো পজিটিভ দেখতে পাবে, তাই না?
৩. কনসিস্টেন্ট হও
তুমি যেভাবে নিজেকে দেখাতে চাও—সেইভাবে সব জায়গায় consistent থেকো।
Facebook এ cool dude, LinkedIn এ philosopher, Instagram এ DJ—
এই মিক্সড ভার্সনে কেউ সিরিয়াস হবে না।
৪. কথা বলা আর লিখতে শেখো
তোমার voice, তোমার লেখার স্টাইল—সবই পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং-এর অংশ।
তুমি শিখে ফেলো এক প্যারায় নিজেরে তুলে ধরতে।নিজেকে গুছিয়ে উপস্থাপন করাটা কোনো অহংকার না।
এইটা একধরনের দায়িত্ব।
তুমি যতদিন “জানি না” বলে পিছিয়ে থাকবে, ততদিন তোমার জায়গায় অন্য কেউ এসে দাঁড়িয়ে যাবে।
নিজেকে এখনই বানাও একটা ম্যাজিকাল ব্র্যান্ড।
জীবন একদিন না একদিন—“Hire” বাটনে ক্লিক করবেই।
তুমি পারো।
কারণ তুমি শুধুই তুমি না—
তুমি একটা ব্র্যান্ড, একটা গল্প, একটা সম্ভাবনা।
"জানি না" বলে আর পিছিয়ে থাকা নয়, Youman-এর সাথে শেখা এখনএকদম গল্পের মতো সহজ!
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন