টক্সিক ফ্রেন্ডশিপ থেকে বের হয়ে আসার স্টেপ-বাই-স্টেপ গাইড !
একটা সময় ছিল, ওর নাম দেখলেই আপনার মুখে হাসি ফুটত।
আর এখন?
কল এলে বুক ধড়ফড় করে।
মেসেজ দেখলেই মনে হয় — "আবার কী হলো!"
এটাই টক্সিক ফ্রেন্ডশিপের সূক্ষ্ম খেলা।
আপনি বুঝতেই পারবেন না, কখন হাসিমুখের গল্পগুলো
চুপচাপ বিষে পরিণত হয়েছে।
টক্সিক বন্ধুত্ব মানেই শুধু ঝগড়া না।
অনেক সময় সেটা হয় একতরফা ব্যবহার,
কখনও উপহাসে ঢাকা কথা,
আবার কখনও আপনার আত্মবিশ্বাস কেটে নেওয়া হাসিমুখে।
তাই আজ কথা হোক আপনার শান্তির জন্য,
এই সম্পর্কগুলো থেকে বের হয়ে আসার সহজ কিন্তু সাহসী পথ নিয়ে।
Step 1: চিনে নিন, আপনি কোথায় দাঁড়িয়ে আছেন
প্রতিবার আপনি ভুল করলে কি ও হাসে?
আপনার দুঃখের দিনে কি সে পাশে থাকে না?
নিজের প্রয়োজনেই কি সবসময় আপনাকে মনে পড়ে তার?
নিজের মনকে জিজ্ঞেস করুন —
এই সম্পর্কটা কি আপনাকে গড়ে তুলছে,
না ভেতর থেকে একটু একটু করে ভেঙে দিচ্ছে?
সব সম্পর্ক না টিকলেই সম্পর্কহীনতা আসে না, বরং আসে হালকা নিঃশ্বাস।
Step 2: নিজেকে ছোট ভাবা বন্ধ করুন
“আমি না বললে ও কষ্ট পাবে।”
এই কথাটার ভেতরে লুকানো থাকে —
“ও যতটা গুরুত্ব পাচ্ছে, আমি কি ততটাই পাচ্ছি?”
যদি বারবার আপনি নিজের চাওয়া অপছন্দের জায়গায় রেখে
একটা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখেন,
তাহলে একদিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকেই চিনতে পারবেন না।
নিজের মানসিক শান্তিকে অগ্রাধিকার দিন।
একজনের খুশির জন্য অন্য একজনের ঘুম চলে যাওয়া — এটা তো কোনো সুস্থ সম্পর্ক না।
Step 3: দূরত্ব তৈরি করুন, ধাক্কা না দিয়ে
চট করে একদিনে ব্লক বা ঝগড়া করে সম্পর্ক ছিন্ন করা সবসময় ঠিক না।
আপনি ধীরে ধীরে নিজের জায়গাটা নিন।
কম রিপ্লাই দিন, কম এক্সপেকটেশন রাখুন।
দূরত্ব তৈরি মানেই সম্পর্ক শেষ না —
এটা একটা নিজেকে বাঁচানোর প্রক্রিয়া।
Step 4: গিল্ট-ট্রিপে পা দেবেন না
অনেক সময় টক্সিক মানুষরা আপনার সিদ্ধান্তকে "ড্রামা" বলে উড়িয়ে দেবে।
বলবে —
"তুই তো অনেক বদলে গেছিস!"
"তুই আগের মতো নাই!"
হ্যাঁ, আপনি বদলে গেছেন।
আপনি এখন নিজের মানসিক শান্তিকে গুরুত্ব দেন।
এই বদল খারাপ না — বরং এইটাই সঠিক।
নিজের সিদ্ধান্তে গর্ব করুন, গিল্ট নয়।
Step 5: নিজের সাপোর্ট সিস্টেম বানান
টক্সিক সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার পর একটা শূন্যতা আসতেই পারে।
তাই আগে থেকেই এমন কিছু মানুষের পাশে থাকুন,
যাদের পাশে কথা না বললেও শান্তি পাওয়া যায়।
চুপচাপ পাশে থাকার মানুষ খুব কম হয়।
তাদের খুঁজে নিন।
আর খুঁজে না পেলে, নিজের জন্য একজন হোন —
আপনি নিজেই।
Step 6: সময় দিন, নিজেকে গড়ে তুলুন
কেউ চলে গেলে নিজেকে ভেঙে পড়তে দেবেন না।
এই সময়টা আপনার জন্য।
নতুন কিছু শেখা, নিজের প্রতি যত্ন নেওয়া,
একটা গাছ লাগানো, মুভি দেখা—সবই হতে পারে নিজের যত্ন।
যে নিজেকে ভালোবাসে,
সে-ই আসলে সবার কাছেও ভালোবাসার যোগ্য হয়ে ওঠে।
সব সম্পর্ক রাখতেই হবে —
এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসুন।
কিছু মানুষ আসে শেখাতে,
কিছু মানুষ আসে ছেড়ে যেতে।
আপনার দায়িত্ব হলো —
নিজের শান্তির দিকটা বেছে নেওয়া।
ভালোবাসা মানে বোঝাপড়া,আর বোঝা নয়। Youman নিজের পাশে থাকুন, কারণ আপনিই আপনার সবচেয়ে বড় সাপোর্ট।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন