ক্যারিয়ার ডেভ্লপমেন্টের জন্য নেটওয়ার্কিং করুন সহজেই
নেটওয়ার্কিং কী?
সহজ কথায়, নেটওয়ার্কিং হলো নিজের পরিচিতির গণ্ডি বড় করার একটা মাধ্যম। প্রফেশনালরা নেটওয়ার্কিং করে নিজেদের ইন্ডাস্ট্রির ভেতরের এবং বাইরের ব্যাপারে জানা-শোনা বাড়ায়, ইনফরমেশন শেয়ার করে, এবং নিজেদের ক্যারিয়ারকে আরও সমৃদ্ধ করে।
যখন প্ল্যাটফর্মে সবাই সমানভাবে লাভবান হয়, তখনই আসল নেটওয়ার্কিং হয়। একজন সফল নেটওয়ার্কার তখনই সফল যখন সে ভাবতে শেখে, "আমি কতটা নিলাম?" এর চেয়ে "আমি কতটা দিলাম?"
১. প্রয়োজনের আগেই নেটওয়ার্কিং শুরু করুন
প্রয়োজনের আগে থেকেই নেটওয়ার্কিং শুরু করা উচিত। যদি হঠাৎ করে কেউ একটিভ হয়, তাহলে তার ইন্টারেস্ট শুধুই নিজের সুবিধায়, তা অন্যরা বুঝে ফেলে। তাই একজন ভালো নেটওয়ার্কার হিসেবে আগেই রেগুলারলি যোগাযোগ রাখুন, যাতে আপনার উদ্দেশ্য স্পষ্ট থাকে আর সম্পর্কগুলোও দীর্ঘমেয়াদী হয়।
২. নেটওয়ার্কিংয়ের জন্য প্ল্যান করুন
কোনো নেটওয়ার্কিং ইভেন্টে যাওয়ার আগে নিজেকে চিনুন। আপনি কী ভালো পারেন, আপনার স্কিলগুলো কী, এবং কীভাবে এগুলো অন্যের উপকারে আসতে পারে তা জানুন। এখন না হোক, ভবিষ্যতে কীভাবে আপনার ট্যালেন্ট অন্যকে সাহায্য করতে পারে, সেটা আগে থেকেই প্ল্যান করে রাখুন।
৩. নিজের ব্যক্তিগত এজেন্ডা ভুলে যান
কেবল চাকরি পাওয়ার জন্য বা কাউকে প্রভাবিত করতে নেটওয়ার্কিং করলে ভুল করবেন। বরং খোলামেলা হন, বন্ধুত্বপূর্ণ হন, এবং অন্যদের সাহায্য করতে ইচ্ছুক হন। মানুষ আপনার এই উদার গুণগুলো মনে রাখবে।
৪. কাউকে তুচ্ছ ভাববেন না
যেখানেই দেখবেন ছাই, উড়িয়ে দেখবেন তাই; পেলেও পেতে পারেন মূল্যবান কিছু। কারো বয়স, অভিজ্ঞতা বা পদের উপর ভিত্তি করে তাকে কম গুরুত্বপূর্ণ ভাববেন না। যেকোনো মানুষের কাছ থেকে আপনি অসাধারণ তথ্য পেতে পারেন।
৫. কানেকশনগুলোর মধ্যে যোগসূত্র খুঁজুন
কাউকে যখন চেনেন, তার স্কিলগুলোর সাথে অন্যের কাজে লাগানো যায় কি না, সেটা বের করার চেষ্টা করুন। ধরুন, আপনি একজন গ্রাফিক ডিজাইনারকে চেনেন। সেই ডিজাইনারকে এমন কারো সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পারেন যার প্রিন্টিং প্রেস আছে। এতে দুই পক্ষই উপকৃত হবে।
৬. কীভাবে উপকারী হতে পারেন, সেটা বুঝুন
আলাপ শেষে বলতে পারেন "How can I help you?" বা "If you need anything, please reach out to me"। এতে অন্যরা আপনার আন্তরিকতা উপলব্ধি করবে। আপনার বিজনেস কার্ড দিলে সেটাও একটা ভালো উপায়।
৭. ফলো আপ বা ফলো থ্রু করুন
কারো জন্য যদি কিছু করার প্রতিশ্রুতি দেন, সেটি রাখার চেষ্টা করুন। সবাই ব্যস্ত, তবে ছোট ছোট কিছু উদ্যোগ অনেক বড় ইমপ্যাক্ট রাখতে পারে। এতে আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়বে।
৮. নেটওয়ার্কিংয়ের শক্তিতে বিশ্বাস রাখুন
নেটওয়ার্কিং মানে প্রয়োজনে অন্যের পাশে থাকা। এর মধ্যে একটা ম্যাজিক আছে। কখনো হয়তো বুঝবেন না, কিন্তু ঠিকই একদিন সেই ম্যাজিক আপনার কাজে আসবে।
শুধু নিজের নয়, অন্যেরও উপকার করার চিন্তা থাকলে এই নেটওয়ার্কিং একসময় আপনারও উপকারে আসবে।
যদি এরকম আরো দারুণ সব টিপস আর ইনফো পেতে চান, তাহলে Youman কমিউনিটিতে যোগ দিন। প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগাতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং চলুন একসাথে এগিয়ে যাই।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন