লিফটে ওঠার নিয়ম

আজকের বিষয় সিম্পল হলেও বেশ দরকারি - লিফট এ ব্যবহার। ধরেন আপনি বিল্ডিং এর দশতলা থেকে নামছেন। প্রতিটা ফ্লোরেই লিফট থামছে আর দরজা খুলতেই কেউ আপনাকে প্রশ্ন করছে, “উপরের দিকে যাচ্ছেন না নীচের দিকে?” — মানে কি দারুণ বিরক্তির ব্যাপার!

ব্যাপারটা খুব সোজা। টপ ফ্লোর আর গ্রাউন্ড ফ্লোর বাদে সব ফ্লোরেই লিফটের দুইটা বাটন থাকে – একটা উপরের জন্য আরেকটা নিচের জন্য। তাই দরজা খুলতেই “লিফট উপরে যাচ্ছে না নিচে?” প্রশ্নের ঝামেলা নেই।

ধরেন আপনার নিচে নামার খুব তাড়া। তাই লিফটের সামনে দাঁড়িয়ে বারবার বাটন চেপেই চলেছেন। সত্যি বলতে, একবার চাপলেও লিফট আসবে সেই একই স্পিডে, তাই হাত আর সময় দুইই বাঁচান।

লিফটে উঠে মোবাইল কানে নিয়ে আর কেটে যাওয়া নেটওয়ার্কের জন্য হাঁসফাঁস করার কি দরকার? লিফটে একটু শান্ত থাকলেই হয়। কয়েক মিনিটের ব্যাপার মাত্র। আবার খুব জোরে নিজের পার্সোনাল গল্পগুলো বলতেও হবে না। পরিচিত কেউ থাকলেও মৃদু স্বরে কথা বলাই ভালো।

লিফট মানে লোকাল বাস না, তাই দরজা খুলতেই ঝাঁপিয়ে পড়ে উঠে যাবেন না। একটু অপেক্ষা করে দেখেন। যদি দেখেন খুব ভীড়, পরের লিফটে যাওয়াই স্মার্ট ডিসিশন।

আবার লিফটের দরজা খুলতেই সবাইকে পিছিয়ে দিয়ে সবার আগে বের হতে যাবেন না। আপনার ফ্লোর এলে সুন্দর করে নিচের দিকে তাকিয়ে আস্তে বের হয়ে আসলেই হবে।

এছাড়া, লিফটের ভিতর আপনার সাথে থাকা ঘামের গন্ধ সবার সাথে শেয়ার না করাই ভালো। নিজের জন্য না হলেও অন্যদের জন্য একটু বডি স্প্রে বা ডিওডোরেন্ট ইউজ করতে পারেন।

স্মার্টলি চলুন, নিজেকে আপডেট রাখুন আর জীবনে সফল হতে Youman ফলো করুন!


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্রতিদিনের জীবন সহজ করার ১০টি প্রযুক্তি টিপস

বেড়াতে যাবেন কোথায় ? কেন?

প্যাসিভ ইনকামে ফোকাস