ব্যবসা শুরু করার আগে জেনে নিন!

 নতুন বিজনেস শুরু করতে চান? জেনে নিন বেসিকগুলো!

আজকাল চারপাশে নতুন নতুন বিজনেস গজাচ্ছে। কিন্তু শুরু করার পরই অনেকটাই হাওয়া হয়ে যায়! কারণ? প্রোপার প্ল্যানিং-এর অভাব। তাই বিজনেস শুরু করার আগে কিছু বেসিক বুঝে নিন।

১. ইউএসপি (USP) ঠিক করুন: ধরুন, আপনার এলাকায় একটা সেলুন আছে, আর আপনি ভাবলেন আরেকটা সেলুন দেবেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, কাস্টমার কেন আপনাকে বেছে নেবে? আপনার সার্ভিসে কি ইউনিক? ইউনিক সেলিং পয়েন্ট (USP) ঠিক করাটা খুব জরুরি।

২. সোর্সিং ভালো হলে প্রফিটও বেশি: প্রোডাক্ট সোর্সিং যত ভালো করবেন, তত বেশি প্রফিট মার্জিন পাবেন। সোর্সিং ভালো হলে প্রাইস বেনিফিটও হাতে থাকবে। আর যদি সার্ভিস হয়, তাহলে ট্রাস্টেড টিম তৈরি করতে হবে।

৩. টার্গেট মার্কেট ভালোভাবে বোঝা: কাস্টমারদের মনোভাব, চাহিদা আর প্রেফারেন্স বুঝতে হবে। টার্গেট মার্কেট বুঝলে ব্যবসা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। না বুঝলে টিকে থাকা কঠিন।

৪. বাজেট ফিক্সড রাখুন: বিজনেস চালাতে কত টাকা লাগবে সেটা হলো অপারেশন বাজেট, আর মানুষের কাছে পৌঁছাতে যে খরচ সেটাই মার্কেটিং বাজেট। কেমন করে, কত খাতে খরচ করবেন তা আগে থেকেই ফিক্সড করা দরকার। সাথে কতদিনে ইনভেস্টমেন্ট উঠবে আর প্রফিট আসা শুরু হবে, সেটাও হিসাব করে রাখুন।

৫. উদ্যোক্তার স্যালারি: নিজের জন্য স্যালারি ফিক্স না রাখলে আপনার আর্নিং আর খরচের হিসাব স্পষ্ট হবে না। অনেক সময় ধরে কাজ করলে ফ্রাস্ট্রেশন আসতে পারে, তাই নিজের সেলারি ফিক্সড রাখুন।

৬. ডকুমেন্ট ঠিকঠাক রাখুন: ট্রেড লাইসেন্স, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ভ্যাট-বিন সার্টিফিকেট থাকলে নতুন কোনো সুযোগ এলে হারাবেন না। আর আপনি নিজেও ব্যবসার প্রতি সিরিয়াস থাকবেন।

৭. প্ল্যান বি রেডি রাখুন: বিজনেসে কাজ না হলে কি করবেন? এমন একটি বিকল্প প্ল্যান করে রাখুন। কাজ না করলে নতুন পথে এগিয়ে যেতে পারবেন। প্ল্যান বি দরকার হলে কাজে লাগাতে পারবেন।

এখনই কমেন্ট করে জানিয়ে দিন—বিজনেস শুরু করতে হলে প্রথম কোন স্টেপ নেবেন? 

প্রতিদিনের ছোট ছোট চ্যালেঞ্জে স্মার্ট উইনার হোন! Youman কমিউনিটিতে জয়েন করে নতুন ইনসাইটস আর মোটিভেশন পান সহজেই!


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগে কেন? সলিউশন এখানে !

ভুয়া অফার থেকে নিজেকে বাঁচানোর স্মার্ট উপায় !

যে কৌশলে সহজে পড়া মনে রাখতে পারবেন