না বলা শিখবেন যেভাবে!

"অনুরোধে ঢেঁকি গেলা" – মানে কারো অনুরোধে এমন কিছু করা যা হয়তো আপনার পক্ষে সম্ভব না বা আপনার জন্য আরামদায়ক না। আজকের বিষয়: কিভাবে এবং কখন না বলতে হয়। জানুন, নিজেকে কমফোর্টেবল রাখতে না বলার ক্ষমতা খুব জরুরি।

না বলার টিপস:

১. নিজেকে কমফোর্টেবল রাখুন:
যখনই আপনার মনে হয় কিছু অনুরোধ আপনার পক্ষে সম্ভব না, সরাসরি বলুন “না”। নিজেকে কোনো চাপের মধ্যে না ফেলাই ভালো।

২. ভনিতা করবেন না:
কোনো এক্সকিউজ তৈরি করার দরকার নেই। শুধু সোজা না বলুন। সময় বা পরিস্থিতি বুঝে শান্তিপূর্ণভাবে নিজের সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন।

৩. অনুরোধের উদ্দেশ্য বুঝুন:
যখন কেউ আপনার কাছে কোনো রিকোয়েস্ট করে, তাদের উদ্দেশ্য কী? সেটা জানুন। অনেক সময় রিকোয়েস্টটি খুব ইচ্ছে করে আসতে পারে, আবার কখনো আনইন্টেনশনাল হতে পারে। আপনি যদি বুঝে যান, তখন সহজে না বলতে পারবেন।

৪. বিন্দুমাত্র নো না বললে, রুড হতে পারে:
ধরা যাক, কেউ আপনার কাছে ৫০০ বা ১০০০ টাকা ডোনেট করার জন্য বলে। আপনি দিতে চাইছেন না, কিন্তু সরাসরি না বলার কোন উপায় নেই। তখন, "এটা সম্ভব নয়" বললে অনেক বেশি প্রফেশনাল লাগবে, রুড না হয়ে।

৫. বন্ধুরা বিদেশে ট্যুরে যাচ্ছে, আপনার বাজেট না থাকলে:
আপনি জানাতে পারেন, “এই মুহূর্তে বাজেট না থাকলেও, দেশে ট্যুর হলে অবশ্যই যাব।”

৬. বসের অনেক কাজের চাপ:
যখন বস আপনাকে একদিনে সাতটা এসাইনমেন্ট দিতে বলেন, আপনি বলতে পারেন, “এসাইনমেন্টগুলো শেষ করতে কমপক্ষে সাতদিন লাগবে।” তাহলে, বস বুঝতে পারবে আপনার পরিস্থিতি এবং সময় দিবে।

Warrant Buffet এর কথা:

ওয়ারেন বাফেট বলেন, একজন সাকসেসফুল মানুষ আর একজন ভীষণ সাকসেসফুল মানুষের মধ্যে পার্থক্য হলো, ভীষণ সাকসেসফুল মানুষ প্রায় সবকিছুতে "না" বলতে জানেন।

কাজেই, বন্ধুরা, না বলুন, জীবনকে বেশি চাপ মুক্ত রাখুন, সময়কে নিয়ন্ত্রণে আনুন। আর হ্যাঁ, আমাদের Youman কমিউনিটির সাথে থাকুন, আরো হেলদি, ফিনান্স, ক্যারিয়ার টিপস পেতে!

ফলো করুন Youman, জীবনটা উপভোগ করুন!


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগে কেন? সলিউশন এখানে !

ভুয়া অফার থেকে নিজেকে বাঁচানোর স্মার্ট উপায় !

যে কৌশলে সহজে পড়া মনে রাখতে পারবেন