Youman

পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং কিভাবে ক্যারিয়ারে ম্যাজিক আনবে? তুমি যখন একটা ইন্টারভিউতে ঢোকো, তখন শুধু সিভিটা ঢুকে না। তোমার হাঁটা, কথা, চোখের ভাষা, মুচকি হাসি—সব কিছু একসাথে ঢোকে। এই পুরো ব্যাপারটাই একধরনের “তুমি ব্র্যান্ড”। হ্যাঁ, তুমি নিজেই একটা ব্র্যান্ড। নাহ্, স্যামসাং বা নাইকির মতো না, তুমি হচ্ছো এমন একটা ব্র্যান্ড যাকে মানুষ মনে রাখবে… অথবা একদম ভুলে যাবে। শুরু করি একটু গল্প দিয়ে… তোমার নাম ফারহান। পড়াশোনায় মোটামুটি। ইংলিশ ভালো বলতে পারো, টাইপও দ্রুত। তবু চাকরি হচ্ছে না। দুই বন্ধুর CV এক, কলেজ এক, গ্রেড এক— তবু একজন চাকরি পায়, আরেকজন ফেরত আসে “আমরা জানাবো” শুনে। কেন জানো? কারণ একজন জানে নিজেরে কীভাবে “উপস্থাপন” করতে হয়। সে শুধু কে আছে তা না, সে কেমন করে নিজেকে তুলে ধরে—এইটাও কাজে লাগে। এটাই পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং। পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং মানে কী? পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং মানে তুমি নিজেকে এমনভাবে তৈরি করো, যেন অন্যেরা তোমার নাম শুনে বলে— “এই ছেলেটা তো Creative!” “এই মেয়েটা ভীষণ ডেডিকেটেড!” এটা কিন্তু ফেক হওয়া না। এটা হচ্ছে নিজের আসল version-টা polish করা, যেন তোমার presence-ই একটা ছাপ ফেলে। হু...

  মধ্যরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়। একটা অদ্ভুত শান্তি। তবে সেই শান্তি টেকে না — ফোন হাতে নিয়ে স্ক্রল করা শুরু করলেই, পরের এক ঘণ্টা যেন চোখ খোলা দুঃস্বপ্ন। এই যে, আপনি একটু রেস্ট নিতে চেয়েছিলেন— এবং শেষমেশ পেলেন চোখের ক্লান্তি, মনের বিরক্তি, আর ঘুমহীনতা। এটাই আজকের জটিলতা। আমরা অবসরে যাচ্ছি রিফ্রেশ হতে, ফিরে আসছি আরও ক্লান্ত হয়ে। এত এত নোটিফিকেশন, ইনবক্স, আপডেট, লাইভ—সব মিলিয়ে আমরা যেন মন দিয়ে কিছুই করতে পারছি না। তাই দরকার Digital Minimalism—একটা এমন জীবনযাপন পদ্ধতি, যেখানে আপনি ডিজিটাল থাকবেন, তবে নিজের নিয়মে। ১. ফোন আছে, তবে সেটাই জীবন না আগে মানুষ বারান্দায় বসে চা খেত, এখন ফোন স্ক্রলে মুখ গুঁজে চা ঠান্ডা করে ফেলে। আপনি কি সেই দলে? ফোন আমাদের দরকার—কাজের জন্য, যোগাযোগের জন্য। কিন্তু যখন সেটা আপনার মানসিক জায়গা দখল করে নেয়, তখন দরজায় টোকা দেয় বিষণ্ণতা। Digital minimalism মানে—ফোন ছুঁড়েই ফেলে দেওয়া না। বরং সেটাকে একটা সুন্দর দূরত্বে রাখা। যেন আপনি ফোন চালান , ফোন আপনাকে না চালায়। ২. “বোর লাগছে” বলে স্ক্রল করা মানে মস্তিষ্ককে ছুটি না দিয়ে ওভারটাইম করানো একটা সময় ছিল যখন অলস সময় মানেই গ...

  বড় কিছু কেনার জন্য টাকা জমানোর টেকনিক – স্ট্রেস ছাড়াই স্বপ্নপূরণ জীবনটা ক্যারাম বোর্ড। মাঝে মাঝে একটা ‘কোইন’ কিনতে ইচ্ছে করে – দামি একটা ফোন, পছন্দের বাইক, বা হয়তো স্বপ্নের ট্যুর। কিন্তু হাতের গুঁটি গুলো যদি শেষ হয়ে যায়, তখন তো সব খেলা মাটি ! এই জন্যই টাকা জমানোর টেকনিক জানা থাকা দরকার। আপনাকে আজ বলব, কীভাবে স্ট্রেস ছাড়া একটা বড় কিছু কেনার জন্য শান্তভাবে, মাথা ঠান্ডা রেখে টাকা জমানো যায়। ১. আগে ঠিক করুন ‘কেনার কারণটা’ আপনি কী কিনতে চান সেটা যত না গুরুত্বপূর্ণ, কেন কিনতে চান সেটা অনেক বেশি জরুরি। কারণ যদি মজবুত হয়, তাহলে প্ল্যানও হবে স্টেডি। জানেন তো, ইমোশন ছাড়া সেভিংস টিকেই না। তাই নিজের সাথে একটু কথা বলুন। দরকারে চুপচাপ ছাদে উঠে এক কাপ চা নিয়ে ভাবুন। এই জিনিসটা আমার কেন দরকার? ২. একটা নির্দিষ্ট সময়সীমা সেট করুন সময় ঠিক না থাকলে টাকা জমানো কখনই সিরিয়াস হয়ে উঠবে না। ধরুন, আপনি ৬ মাস পর একটা ল্যাপটপ কিনবেন — তাহলে প্রতি মাসে কতো টাকা জমালে হবে সেটা হিসেব করা সহজ হয়। অন্যভাবে বললে, জীবনটা একটা ছোট ছোট ডেডলাইনের সমষ্টি। আর এই ডেডলাইনগুলোই আমাদের মনের মধ্যে গতি এনে দেয়। ৩. একাউন্ট আল...

ঘুরতে ঘুরতেই ইনকাম করো! আপনি যদি মনে করেন জীবন মানে শুধু অফিস, ঘরে ফেরা, আর কখনো সখনো ফ্রাইডে প্ল্যান তাহলে ভুল করছেন। জীবন অনেক বড়, আর তার ভেতরে একটা ম্যাজিক আছে, যা আপনি টের পাবেন রাস্তায় বের হলে। কিন্তু সমস্যা একটাই — ঘোরাঘুরি মানেই খরচ, আর খরচ মানেই আয় না থাকলে হাত খালি। কিন্তু ধরুন তো, যদি ঘুরতে ঘুরতেই ইনকাম করা যেত? ভাবছেন কীভাবে? চলুন এক কাপ চা নিই, আর শুরু করি গল্প। ১. ছবি তুলুন, টাকা তুলুন! আপনার ফোনে যদি একটু ভালো ক্যামেরা থাকে আর চোখে যদি গল্পের মতো ফ্রেম ধরা পড়ে, তাহলে আর পেছনে তাকানোর দরকার নেই। ছবি তুলে আপনি অনলাইনে বেচতে পারেন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে। বিদেশি সাইটে আপলোড করুন, কেউ না কেউ সেই ছবিটা কিনবেই। আর আপনি ইনকাম করবেন ডলার! টিপস: Unsplash, Shutterstock বা Adobe Stock এ একাউন্ট খুলে ফেলুন নিয়মিত ভ্রমণের ছবি আপলোড দিন ক্যাপশন দিন সহজ ভাষায়, যেন ছবির সাথে গল্পটা মিলিয়ে যায়  ২. লিখতে পারেন? তাহলে আপনার পথ খুলে গেছে ভ্রমণ করতে করতে যে অভিজ্ঞতা হয়, তা কিন্তু অন্য কারো হয় না। আপনি চাইলে ব্লগ লিখে ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে আয় করতে পারেন। যেমন ধরুন — "চলছিলাম টাঙ...