পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নিজের জন্য ফাইনান্সিয়াল এডভাইজার

ছবি
আপনার পার্সোনাল ফাইনান্স নিয়ে একা সিদ্ধান্ত না নিয়ে, বরং একজন প্রফেশনাল ফাইনান্সিয়াল এডভাইজারের সাথে আলোচনা করা অনেক smarter move! আজকে আলোচনা করবো, কেন একজন ফাইনান্সিয়াল এডভাইজারের সাহায্য নেয়া আপনার জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। কেন একজন ফাইনান্সিয়াল এডভাইজারের দরকার? ফাইনান্সিয়াল এডভাইজার হচ্ছেন সেই ব্যক্তি, যিনি আপনার পার্সোনাল ফাইনান্স নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে আপনাকে গাইড করবেন। শুধু প্রফেশনাল এডভাইজার হতে হবে এমন কথা নেই। আপনি যদি পরিবারের মধ্যেই এমন কাউকে পান, যিনি এই বিষয়গুলোর সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন, তাহলে তার কাছ থেকেও পরামর্শ নিতে পারেন। যেমন আপনার কোনো আত্মীয় বা বন্ধু, যিনি ফাইনান্সিয়াল বিষয়ে একটু জানেন। কিভাবে ফাইনান্সিয়াল এডভাইজার আপনার সাহায্যে আসবেন? ফাইনান্সিয়াল এডভাইজার আপনার জন্য সঠিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান সাজিয়ে দিবেন। আপনি কোথায় ইনভেস্ট করবেন, কোন ব্যাংকগুলোতে ফিক্সড ডিপোজিট করবেন, নাকি অন্য কোনো ব্যবসায় ইনভেস্ট করবেন—এসব বিষয়ে তাদের পরামর্শ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া, আপনার ফাইনান্সিয়াল প্ল্যান যেমন, গাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার বাজেট ঠিক করা, এসবেও তারা আপনাকে সহায়...

ব্যাস্ত দিন ম্যানেজ হবে সহজেই।

ছবি
আমরা সবাই এমন একটা দুনিয়ায় আছি, যেখানে ব্যস্ত থাকাই যেন ভালো থাকার প্রমাণ! তাই কীভাবে একটা হাইপার ব্যস্ত দিন ম্যানেজ করবেন, সেটা নিয়েই আজকে কথা। স্টেপ ১: একটা ডেইলি টু-ডু লিস্ট বানান ব্যস্ত যতই থাকেন না কেন, রোজকার কাজগুলোর একটা লিস্ট বানান। শুধু ঘুম থেকে উঠে সোজা কাজ শুরু করবেন না! দিনটাকে ব্রেকডাউন করুন - কতটুকু কাজ, কতটুকু ফ্যামিলি টাইম। স্টেপ ২: যেটা ভালো লাগে, সেটাতে সময় দিন প্রচুর কাজের চাপ? ঠিক আছে, ফোকাসটা দিন সেই কাজে, যেটা আপনাকে এনজয়মেন্ট দেয়। নিজেকে একটু একটু করে এক্সপোজ করুন, আর কাজগুলো সুন্দর করে গুছিয়ে নিন। স্টেপ ৩: সফলতার জন্য স্মার্ট ওয়ার্ক অবশ্যই, সফল হতে হলে পরিশ্রম করতেই হবে। কিন্তু সেটা মাথায় রেখে, প্ল্যান ছাড়া ২৪ ঘণ্টা শুধু কাজ করে গেলেই হবে না। দেখুন তো যাদের আপনি ফলো করেন তারা কেমনভাবে কাজ করেন। তাদের কাছ থেকে শিখে নিজের লাইফে ইমপ্লিমেন্ট করুন। স্টেপ ৪: ডেইলি প্ল্যান আগে থেকে ফিক্স করুন আগের রাতে চিন্তা করে রাখুন, কাল কী কী করবেন। আপনার ক্যালেন্ডার বা ডায়েরিতে সিম্পল করে লিখে রাখুন পরদিনের প্ল্যান। এতে কনফিউজড লাগবে না, আর দিনটা অনেক ইজি যাবে। এমন মজার আরও টিপস ...

দেশ ছাড়ার আগে প্ল্যানিং-টা মাস্ট!

ছবি
বিদেশে পড়তে যাওয়ার আইডিয়া শুনলেই মাথায় একসাথে এক্সাইটমেন্ট আর টেনশন ঝিলিক মারে। নতুন একটা দেশে লাইফ সেট করতে হবে, তাই আগেই কিছু জিনিস ঠিক করে ফেললে টেনশন মাইনাস, এঞ্জয়মেন্ট প্লাস হবে! ইউনিভার্সিটি পছন্দ প্রথমেই ঠিক করে নাও কোন দেশের ইউনিভার্সিটিতে যেতে চাও। তোমার সাবজেক্টে টপ র‍্যাংকিংয়ের ইউনিভার্সিটি কোথায় আছে, সেইটা দেখে নাও। ইংলিশ স্পিকিং কান্ট্রি একমাত্র অপশন ভাবার দরকার নেই। অনেক নন-ইংলিশ কান্ট্রিতেও সেরা মানের ইউনিভার্সিটি আছে। ভাষার সমস্যা হবে, কিন্তু একটু একটু করে মানিয়ে নেয়া যাবে, সেই নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। কালচারাল শক দেশ ছাড়ার পর নতুন কালচার তো থাকবেই, এটাকেই মজা হিসেবে নাও! প্রথমে বৈশাখী আয়োজন না থাকলেও ওখানকার সংস্কৃতির বিশেষ দিনগুলো এঞ্জয় করা শুরু কর। এই ডাইভারসিটি আসলে জীবনের এক্সপেরিয়েন্সেরই অংশ! ডরমিটরি বা অ্যাকমোডেশন ইউনিভার্সিটির ডরমিটরি অপশন থাকলে দারুণ, তবে সেটা তোমার জন্য বেস্ট কিনা সেটা আগে খতিয়ে দেখো। যদি ক্যাম্পাসে জব পাওয়ার চান্স থাকে, তাহলে ডর্মে থাকা বেস্ট অপশন। ডরমিটরিতে থাকতে চাইলে আগেভাগে অ্যাপ্লিকেশনে উল্লেখ করে দাও। ক্লাইমেট রেডিনেস শীত বা গরম—সেই দ...

ইন্টার্ভিউতে কল পাবার টেকনিক !

ছবি
কিভাবে ইন্টারভিউ কল পাওয়ার চান্স বাড়াবেন! আপনার বর্তমান চাকরির থেকে একটু বেশি বেতন আর ভালো পজিশনের অফার কেউই না করবে না, তাই না? আর সেই স্বপ্ন পূরণ করতে দরকার বেশি বেশি ইন্টারভিউ কল পাওয়া। চলুন দেখে নিই কিভাবে ইন্টারভিউ কল পাওয়ার চান্স বাড়ানো যায়। নরমাল সিভি আর টার্গেটেড সিভির মধ্যে পার্থক্য কী? দুই ধরনের সিভি দেখা যায়, নরমাল সিভি আর টার্গেটেড সিভি। নরমাল সিভি মানে স্রেফ আপনার পড়াশোনা, অভিজ্ঞতা, আর ইনফরমেশন দিয়ে বানানো একটা সাধারণ সিভি। কিন্তু টার্গেটেড সিভি? এইটা হল যেটা নির্দিষ্ট চাকরির জন্য বানানো। বেশি ইন্টারভিউ কল পেতে হলে আপনাকে এই টার্গেটেড সিভির দিকেই যেতে হবে। অনেকেই চাকরির জব ডেস্ক্রিপশন না পড়ে একদম তাড়াহুড়ো করে সিভি মেইল করে দেয়। আর সিভিটা হয় তখন একটু 'জেনেরিক', মানে অনেকটা যেভাবে হোক তৈরি করা। এতে কিন্তু এইচ আর সিভি দেখেই অর্ধেকটা রিজেক্ট করে দেয়, ফলে ইন্টারভিউ কলও আসে না। টার্গেটেড সিভি বানাবেন কীভাবে? একটা সহজ উদাহরণ দেই। ধরেন আপনি একজন রিলেশনশিপ এক্সিকিউটিভ হিসেবে কাজ করছেন, যেখানে আপনার কাজ ক্লায়েন্টদের সাথে রিলেশন মেইনটেইন করা এবং নতুন বিজনেস নিয়ে আসা। এবার আ...

ভাঙ্গা হৃদয় জোড়া লাগান!

ছবি
রিজেক্টেড হলে কী করবেন? আপনার পরিচিত কারো যদি এমন “ছ্যাকা খেয়ে বাকা হয়ে যাওয়ার” মত অবস্থা হয়, তাহলে এই ব্লগটা তাকে শেয়ার করতেই পারেন। আজকে কথা বলব, কী করলে ভালো লাগে যখন পছন্দের মানুষ আপনাকে রিজেক্ট করে? আপনি যখন প্রপোজ করেন এবং রিজেক্টেড হয়ে যান, তখন পুরো মুডটাই নষ্ট হয়ে যায়। ডিপ্রেশন আসতে পারে, কষ্ট লাগবে, মনে হবে পৃথিবীটা থেমে গেছে। কিন্তু একটু থামুন, শ্বাস নিন এবং ভাবুন—এটা শেষ নয়, বরং নতুন শুরু। আপনি যেমন আছেন সেভাবেই থাকতে হবে।  অন্য কারো মত হয়ে গিয়ে নিজের স্বাভাবিকতা হারানো ভালো নয়। যদি আপনার পছন্দের মানুষ আপনাকে একসেপ্ট করে, তবেই সম্পর্কটা ভালো থাকবে।  যদি না করে, আর জোরর করে কিছু সম্ভব না।   তখন নিজেকে জোর করে পরিশ্রম বা কোনো নেশা দিয়ে এক্সকিউজ করতে চাইলে সেটা আপনার স্বাভাবিকতা কে হারিয়ে ফেলবে। আপনার পুরুষত্ব অপমানিত হবে। আরও বলছি, জোর করে সম্পর্ক চালিয়ে নিয়ে যাওয়া কখনোই ভালো নয়। যখন সম্পর্ক কাজ করে না, তখন ঝামেলা না বাড়িয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যান। এটা মনে রাখবেন, আবেগের বশে ডিসিশন নেয়া একদমই ভুল। তখন হয়ত সিদ্ধান্তগুলো সঠিক মনে হলেও, পরে বুঝবেন যে এই সিদ্ধান্তে ভু...

দেনা কমানোর সহজ উপায়

ছবি
আমরা সবাই জানি, একজন পুরুষের জীবনে অনেক ধরনের দায়িত্ব থাকে—কিন্তু দেনার দায়িত্বটা অনেক সময় একটু বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়ে যায়। আর হ্যাঁ, একটু পরিকল্পনা করলে দেনাগুলোর চাপ অনেকটাই কমানো সম্ভব। আজকে জানাবো, কিভাবে আপনি আপনার দেনাগুলো স্মার্টলি ম্যানেজ করবেন। কেন দেনা হয়? এটা খুবই সোজা। যখন আপনার হাতে থাকা টাকার চেয়ে খরচ একটু বেশি হয়, তখনই দেনা করতে হয়। যেমন, নতুন গাড়ি কিনবেন, ফ্ল্যাট বুক করবেন, এমনকি নিজের কোনো ইম্পরট্যান্ট খরচও যখন বাজেটের বাইরে চলে যায়, তখন এই দেনা হয়। দেনার প্ল্যান তৈরি করুন প্রথমেই, আপনার কোন লোন কোথায় আছে, তার একটা চিত্র খুব ভালোভাবে মাথায় রাখুন। জানবেন কত টাকা দেনা, সেটা পরিশোধ করতে কতো সময় লাগবে, আর সেই দেনা শেষ হলে আপনার কী আর্থিক অবস্থান হবে। এটা নিয়ে নিজের মধ্যে একটা স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। কারণ, আপনার কাছে যে টাকা আছে, সেটা গর্ব করার বিষয় নয়, বরং জানার বিষয়। লোন পরিশোধের জন্য স্ট্র্যাটেজি তৈরি করুন ধরা যাক, আপনি গাড়ি কিনছেন, আর তার জন্য লোন নিয়েছেন। মাসে মাসে কিস্তি পরিশোধ করতে করতে যদি আপনি কিছুটা চাপে পড়েন, তবে আগে থেকেই একটা প্ল্যান তৈরি করে নিন। মাসিক যাতায়াতে...

ব্যাস্ত দিন ম্যানেজ হবে সহজেই।

ছবি
আমরা সবাই এমন একটা দুনিয়ায় আছি, যেখানে ব্যস্ত থাকাই যেন ভালো থাকার প্রমাণ! তাই কীভাবে একটা হাইপার ব্যস্ত দিন ম্যানেজ করবেন, সেটা নিয়েই আজকের কথা। স্টেপ ১: একটা ডেইলি টু-ডু লিস্ট বানান ব্যস্ত যতই থাকেন না কেন, রোজকার কাজগুলোর একটা লিস্ট বানান। শুধু ঘুম থেকে উঠে সোজা কাজ শুরু করবেন না! দিনটাকে ব্রেকডাউন করুন - কতটুকু কাজ, কতটুকু ফ্যামিলি টাইম। স্টেপ ২: যেটা ভালো লাগে, সেটাতে সময় দিন প্রচুর কাজের চাপ? ঠিক আছে, ফোকাসটা দিন সেই কাজে, যেটা আপনাকে এনজয়মেন্ট দেয়। নিজেকে একটু একটু করে এক্সপোজ করুন, আর কাজগুলো সুন্দর করে গুছিয়ে নিন। স্টেপ ৩: সফলতার জন্য স্মার্ট ওয়ার্ক অবশ্যই, সফল হতে হলে পরিশ্রম করতেই হবে। কিন্তু সেটা মাথায় রেখে, প্ল্যান ছাড়া ২৪ ঘণ্টা শুধু কাজ করে গেলেই হবে না। দেখুন তো যাদের আপনি ফলো করেন তারা কেমনভাবে কাজ করেন। তাদের কাছ থেকে শিখে নিজের লাইফে ইমপ্লিমেন্ট করুন। স্টেপ ৪: ডেইলি প্ল্যান আগে থেকে ফিক্স করুন আগের রাতে চিন্তা করে রাখুন, কাল কী কী করবেন। আপনার ক্যালেন্ডার বা ডায়েরিতে সিম্পল করে লিখে রাখুন পরদিনের প্ল্যান। এতে কনফিউজড লাগবে না, আর দিনটা অনেক ইজি যাবে। এমন মজার আরও টিপস...

ক্লাসে ফোকাস বাড়াতে চেকলিস্ট তৈরি করুন!

ছবি
আমরা সবসময় শুনি ভালো রেজাল্ট করতে চাইলে ক্লাসে মনোযোগ দিতে হবে। তবে মনোযোগের চাইতেও বেশি ইম্পরট্যান্ট হলো, আপনি আসলেই ক্লাসে শেখানো জিনিসটা বুঝছেন কিনা। আজকের লেখায় আমরা দেখব কীভাবে ক্লাসকে আরও ইফেক্টিভ করা যায়, যাতে শেখাটা সহজ হয় আর রেজাল্টও ভালো আসে। প্রথমে, যেকোনো ক্লাসে যাওয়ার আগে ছোট একটা প্রিপারেশন নিয়ে যান। এটা অনেক কঠিন কিছু না; শুধু ক্লাসের জন্য টাইমলি রেডি থাকা, দরকারি বই, নোট, কলম নিয়ে যাওয়া আর ক্লাসের আগের দিন একটু আইডিয়া নেয়া যে পরদিন কী পড়ানো হতে পারে। এতে নতুন কিছু শিখতে গেলে কনফিউশন থাকলে টিচারকে জিজ্ঞেস করা সহজ হয়। ক্লাসে বসে টিচারের বোর্ডে করা ডায়াগ্রামগুলো আঁকার চেষ্টা করুন, বা নতুন কিছু জানলে নোট নিন। এতে বিষয়টা সহজেই মনে থাকবে। যদি কিছু না বোঝেন, তখনই প্রশ্ন করে নিন। প্রশ্ন করতে দ্বিধা করবেন না; আপনার বোঝা না বোঝার জন্যেই ক্লাস। কনসেপ্ট ক্লিয়ার করার জন্য টিচারের কাছ থেকে উদাহরণ চাইতে পারেন, রিয়েল লাইফ এক্সাম্পল বোঝা সহজ করে। যদি মনোযোগ দিয়ে বুঝে নেন, তবে পরীক্ষার আগে পুরা বিষয়টা নিয়ে পড়ার টেনশন কমে যাবে। ক্লাসের এসেনশিয়াল নোটগুলো সময় মতো রিভাইস করলে মনে রাখা সহজ হয়...

ইন্টার্ভিউর প্রথম ৩০ সেকেন্ড কি করবেন?

ছবি
ইন্টারভিউর প্রথম ৩০ সেকেন্ড: জিতবেন কি হারবেন? ইন্টারভিউ বোর্ডে ঢুকে প্রথম ৩০ সেকেন্ডেই আপনার ইন্টারভিউর স্পিড কেমন হবে, সেটা মোটামুটি ঠিক হয়ে যায়! কারণ প্রথম দেখাতেই আমরা একটা ইম্প্রেশন তৈরি করি। আর সেই ইম্প্রেশনের উপরেই নির্ভর করে বাকি ইন্টারভিউ। প্রথমেই দরজা ঠেলে গুড মর্নিং বা গুড আফটারনুন বলে ভদ্রভাবে ঢুকে পড়ুন। এটা প্রফেশনালিজম আর কনফিডেন্সের ইম্প্রেশন দেয়। আর হ্যাঁ, ইন্টারভিউতে ক্যাজুয়াল জিন্স-টি শার্ট এড়িয়ে যান। প্রেজেন্টেবল পোশাক পরুন যা আপনার কনফিডেন্ট ভিউটা তুলে ধরে। বডি ল্যাঙ্গুয়েজ সবকিছু বলে মুখ শক্ত করে না বসে, স্ট্রেইট হয়ে বসুন। চোখ এদিক-ওদিক না ঘুরিয়ে সরাসরি তাকান। বডি ল্যাঙ্গুয়েজের মাধ্যমে বোর্ডকে আপনার কনফিডেন্সটা দেখান। ফোন সাইলেন্টে রাখতে ভুলবেন না ইন্টারভিউ চলাকালীন সময়ে যদি ফোনের রিং বেজে ওঠে, এটা পুরো মুডটাই নষ্ট করে দেয়। তাই রুমে ঢোকার আগে ফোনটা সাইলেন্ট করে নিন। ভুলে গেলে বা বেজে উঠলে, নো চেকিং, ওকে? পুরো মনোযোগ ইন্টারভিউতে রাখাই বেটার। কনভারসেশন, শুধু জবাব নয়! ইন্টারভিউটা যেন একতরফা কমিউনিকেশন না হয়। বরং যত দ্রুত এটাকে ডিসকাশনে নিয়ে যেতে পারবেন, ততই বেটার। কারণ...

কে হবে বন্ধু?

ছবি
বন্ধু নির্বাচন: লাইফের জন্য কীভাবে সঠিক বন্ধু বেছে নেবেন? বন্ধু নির্বাচনে আপনি কতটা সিরিয়াস? কারণ আপনার লাইফের “হিট”-এর পিছনে অনেকটাই বন্ধুত্বের ভূমিকাও রয়েছে। ভালো বন্ধু আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, আর খারাপ বন্ধু আপনার জীবনকে তছনছ করে ফেলতে পারে। বন্ধু বেছে নিতে কখনও কাউকে ইজি ভাবে না নিন। আপনার লাইফের টার্গেট এবং আপনার ভবিষ্যৎ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যেমন একজন বন্ধুর কাছে সাপোর্ট চান, ঠিক তেমনই বন্ধুদের থেকেও আপনি সমান সমর্থন এবং প্রেরণা আশা করেন। বন্ধুত্ব আসলে এমন একটা সাপোর্ট সিস্টেম যা আপনাকে জীবনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। বিরক্তি, দুঃখ, বিপদে, প্রথমে যাদের কাছে যাবেন তারা অবশ্যই ভালো বন্ধু। এখানে একটা পয়েন্ট মনে রাখবেন, যদি আপনার বেশিরভাগ বন্ধুই আপনার চাইতে বেশি সফল এবং পজিটিভ অবস্থানে থাকে, তাহলে আপনার নিজের পজিশনও অটোমেটিকভাবে ভালো হবে। কারণ, ভালো বন্ধু আপনাকে নতুন কিছু শেখাতে সাহায্য করবে। তাদের সঙ্গে মিশলে আপনি নিজের স্কিলস্, থট প্রসেস এবং স্ট্র্যাটেজি আরো উন্নত করতে পারবেন। ফ্রেন্ড সার্কেল তৈরি করার সময়, আপনার আশপাশের বন্ধুদের সঠিকভাবে বেছে নিন। নি...

রিটারমেন্টের প্লানে আনেন চেঞ্জ

ছবি
ধরা যাক, আপনি একদিন রিটারমেন্টের পর জীবন উপভোগ করতে চান। কিন্তু শুধু পেনশন বা সেভিংসের ওপর নির্ভর করে সেটি সম্ভব নয়। করিম সাহেবের গল্পটা জানেন তো? রিটারমেন্টের পর প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা দিয়ে একটি ছোট বাড়ি বানালেন মফস্বল শহরে। কিন্তু তার ছেলেমেয়েরা যখন নিজেদের জীবনে ব্যস্ত, তখন সেই বাড়ি আর কেউ দেখতেও আসেনি। শেষে বাড়ি বিক্রি হয়ে গেল, আর তার কষ্টের সেই স্মৃতি হারিয়ে গেল। রিটারমেন্টের পর খালি আবেগে চলবেন না আমরা অনেকসময় ক্যারিয়ারের শেষ দিকে এসে আবেগপ্রবণ হয়ে যাই, এবং সেই আবেগের কারণে ভবিষ্যতের জন্য প্রাকটিক্যাল ভাবনা রাখতে ভুলে যাই। এখন থেকেই সেটি ঠিক করতে হবে। সেভিংসের সঠিক প্ল্যান করুন আপনি যদি রিটারমেন্টের পর ভালোভাবে জীবন কাটাতে চান, তাহলে সেই লাইফস্টাইল বজায় রাখার জন্য আগেভাগেই যথেষ্ট সেভিংস করে রাখুন। একবার সেভিংসের পরিমাণটা বুঝে নিন, যাতে বুঝতে পারেন রিটারমেন্টের পর আপনার মাসিক খরচ কত হবে। খেয়াল রাখবেন যে, আপনার সেভিংসটা এমনভাবে গড়ে তুলবেন যাতে তা দীর্ঘমেয়াদে কার্যকরী হয়। লিকুইড অ্যাসেট রাখুন রিটারমেন্টের টাকায় ফিক্সড অ্যাসেট (যেমন বাড়ি) বানানোর থেকে, যদি সম্ভব হয়, লিকুইড অ্যাসেট র...

জাঙ্ক ফুডকে বলুন বাই

ছবি
ফুড ডেলিভারি অ্যাপগুলো আমাদের জাঙ্কফুডের প্রতি লোভ বাড়িয়ে তুলেছে! তাই কিভাবে স্মার্টলি জাঙ্কফুড খাওয়া কমানো যায়, চলুন দেখে নিই! ১. ভুঁড়ির বন্ধু নয়! জাঙ্কফুড মানেই এক্সট্রা ক্যালোরি আর এক্সট্রা খরচ। মানিব্যাগ স্লিম রাখতে চাইলে, জাঙ্কফুড খাওয়া কন্ট্রোল করুন। ২. মাসিক লিমিট সেট করুন বার্গার আপনার উইকনেস? মাসে দুইটা বার্গার খাওয়ার একটা লিমিট সেট করে ফেলুন। আর বন্ধুরা বার্গার আর কোক খাওয়ার সময় আপনি চিল করে স্যান্ডউইচ আর লেমনেড অর্ডার করুন। ৩. অর্ডারের আগে একটু ভাবুন! ডেলিভারি অ্যাপগুলোর কার্ড সেভ অপশন ডিলিট করে দিন। এতে বার বার টাকা দেয়ার ব্যাপারটা মাথায় এলে, অর্ডার দেওয়ার আগে দুইবার ভাবতে বাধ্য হবেন। ৪. বন্ধুদের হেল্প নিন জাঙ্কফুড খাওয়া কমাচ্ছেন সেটা বন্ধুদের জানান। তারা যাতে আপনাকে এই গেমপ্ল্যান ফলো করতে সাহায্য করতে পারে। ৫. কফিশপে হ্যাংআউট ফাস্টফুড রেস্টুরেন্টে না গিয়ে কফিশপে বসুন, আর বেসিক মেন্যুগুলোই অর্ডার করুন। এতে পকেটও সেফ থাকবে আর আপনার মিশনও অন ট্র্যাক থাকবে। ৬. এক্সারসাইজ শুরু করুন জাঙ্কফুড কমিয়ে জিম বা ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ শুরু করলে আপনার বডি আস্তে আস্তে সেইপে চলে আসবে। এমন...

ক্যারিয়ারে হাই জাম্প চাই?

ছবি
আজকাল আমাদের আশপাশে এমবিএর সংখ্যা যেন ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। অনেকেই আছেন যারা ঠিক বুঝে উঠতে না পেরেই এমবিএ করে ফেলেন। তাহলে আসুন, বুঝে নিই কোন কোন পরিস্থিতিতে এমবিএ আসলেই দরকার, আর কখন এমবিএ না করলেও চলে। এমবিএ মানে তো আমরা সবাই জানি—মাস্টার্স ইন বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। সাধারণত দু’ধরনের এমবিএ থাকে: একটা হল রেগুলার এমবিএ, যা ফুল টাইম মাস্টার্স ডিগ্রি, আরেকটা এক্সিকিউটিভ এমবিএ, যা মূলত কাজের অভিজ্ঞতা অর্জনের পর শর্ট টার্ম কোর্সের মতো একটা ডিগ্রি। আপনি যদি বিজনেস গ্র্যাজুয়েট হন আর গ্র্যাজুয়েশন শেষে জব মার্কেটে মাস্টার্স নিয়ে প্রবেশ করতে চান, তাহলে রেগুলার এমবিএ আপনার জন্য যথেষ্ট। আর যদি ভালো জায়গায় কাজ করছেন, সেখানে কয়েক বছর পর ক্যারিয়ার বুস্টের জন্য এক্সিকিউটিভ এমবিএও করতে পারেন। আজকাল কিছু চাকরিতে, বিশেষ করে ব্যাংকিং সেক্টরে, মাস্টার্স থাকা আবশ্যক বলা হয়। তাই যদি আপনার টার্গেট ওই ধরনের জব হয়, তখন এমবিএ করে নেওয়া ভালো। কিন্তু একটা বড় সমস্যা হলো আমরা কোনো পরিকল্পনা ছাড়া গ্র্যাজুয়েশনের পর চাকরি না পেয়ে এমবিএ বা অন্য মাস্টার্স করে ফেলি। তখন গ্র্যাজুয়েশনের পরের চাকরিতে আবার সেই মাস্টার্স ডিগ...

লিঙ্কডিনের রিকমেন্ডেশন! কিভাবে?

ছবি
লিংকডইন রিকমেন্ডেশন: ক্যারিয়ারের জন্য এক্স ফ্যাক্টর! একজন প্রফেশনাল হিসেবে লিংকডইন প্রোফাইল তো আমাদের সবারই জানা, কিন্তু একটা খুবই ইম্পর্ট্যান্ট ফিচার আছে যেটা হয়তো অনেকেই অবহেলা করেন—রিকমেন্ডেশন। জানেন কি? ৪৭% লোক লিংকডইনের রিকমেন্ডেশন ফিচার দেখে ইন্টারভিউ কল পায়! রিকমেন্ডেশন পাওয়া দরকার, কীভাবে? প্রথমেই আপডেটেড লিংকডইন প্রোফাইল থাকা মেন্ডেটরি। না থাকলে রিকমেন্ডেশন কোথা থেকে আসবে? লিংকডইনে যদি কোনো প্রফেশনাল আপনাকে রিকমেন্ড করে, তাহলে রিক্রুটাররা ধরেই নেয় যে, আপনি আপনার কাজে সলিড। কিন্তু শুধুমাত্র এক-দুই লাইনের জেনারেল রিকমেন্ডেশন হলেও তা কিন্তু যথেষ্ট না। বড় পজিশনের মানুষদের রিকমেন্ডেশন চাইতে হবে: যে কোম্পানিগুলিতে কাজ করেছেন সেখানকার বড় পজিশনের অফিসারদের লিস্ট করে ফেলুন। এবার, লিংকডইনে গিয়ে "Ask for Recommendation" অপশনে ক্লিক করে রিকমেন্ডেশন চাইতে থাকুন। পরে, একবার ফোনে কনট্যাক্ট করে বিনীতভাবে আপনার রিকমেন্ডেশনের রিকোয়েস্ট জানাতে পারেন। এভাবে ডিরেক্ট কথা বললে মানুষ সাধারণত "না" বলে না। সবচেয়ে ভালো অপশন কারা? এক্স-বস আর কলিগ! এক্স-বস বা পুরনো কলিগের রিকমেন্ডেশন স...