পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

দেশের বাইরে যাবার এয়ারপোর্ট বেসিক

ছবি
দেশের বাইরে প্রথমবার গেলে টেনশনের শেষ থাকে না, তাই না? সবকিছু ঠিকঠাক হচ্ছে কি না, বোর্ডিং থেকে লাগেজ পর্যন্ত মাথায় ঘুরতে থাকে হাজারো প্রশ্ন। যারা এখনও ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করেননি, এই সহজ গাইড আপনাকে একদম প্রো বানিয়ে দেবে! পাসপোর্ট আর ভিসা সিস্টেমে ঝামেলা নাই! দেশের বাইরে যেতে লাগবে পাসপোর্ট, আর সাথে লাগবে ভিসা। ভিসার জন্য দরকার আপনার ছবি, এনআইডি ফটোকপি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ইউটিলিটি বিল আর এনওসি। এগুলো আগেভাগে গুছিয়ে ফেলুন, নয়তো লাস্ট মিনিটে ঝামেলা হতেই পারে। টিকিট কনফার্ম আর ফ্লাইট বোর্ডিং চেক করুন যেদিন ফ্লাইট, তার কয়েক ঘন্টা আগে এয়ারপোর্ট চলে যান। এয়ারপোর্টে গেলে আগে বোর্ডিং কাউন্টার খুলেছে কি না দেখুন। বড় স্ক্রিনে চেক করে আপনার ফ্লাইটের কাউন্টারে চলে যান। পাসপোর্ট আর টিকিট দেখিয়ে লাগেজ বুক করে নিন আর বোর্ডিং কার্ড নিয়ে নিন। ইমিগ্রেশন আর সিকিউরিটি পাস বোর্ডিং কার্ড পেয়ে গেলে এবার ইমিগ্রেশনে যান। সেখানে এমবারকেশন ফর্ম ফিলাপ করে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে দিয়ে দিন। ইমিগ্রেশন সিল হয়ে গেলে চেক করে নিন কোন গেট থেকে ফ্লাইট ছাড়বে। সেখানে চলে যান এবং ফাইনাল সিকিউরিটি পার হয়ে প্লেনে উঠে পড়ুন। ল্যা...

CGPA দিয়ে সব বিচার হয় না, কিন্তু দরজাগুলো খুলতে সাহায্য করে!

ছবি
অনেকেরই মনে হয় সিজিপিএ আসলে একটা ম্যাটার না। কিন্তু সত্যি বলতে, এই কথাটা পুরোপুরি ঠিক না। জানতে চান সিজিপিএ কি আসলেই ম্যাটার করে? চলুন, পড়া শুরু করা যাক! আপনি যখন পড়াশোনা শেষ করে চাকরির জন্য এপ্লাই করেন, তখন আপনার কাছে যদি কোনো কাজের অভিজ্ঞতা না থাকে, তবে রিক্রুটার আপনার যোগ্যতা কীভাবে মূল্যায়ন করবেন? চাকরিতে আবেদনকারীদের মধ্যে প্রাথমিক সিলেকশন তো কিছু না কিছু দেখে করতে হবে। আর তাই বেশিরভাগ সময়েই দেখা হয় সিজিপিএ। অনেকেই চাকরিতে এপ্লাই করে, কিন্তু এতগুলো সিভি থেকে সবার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব নয়। তাই যাদের সিজিপিএ ভালো, তারাই প্রথমে ইন্টারভিউ কল পায়। কিছু বড় কোম্পানিতে তো সরাসরি মিনিমাম সিজিপিএ ক্রাইটেরিয়াও থাকে। কারণ? তারা সেই মানুষদের নিতে চায় যারা স্টুডেন্ট লাইফে রেস্পন্সিবিলিটির প্রমাণ রেখেছে। স্টুডেন্ট লাইফে ফোকাস মেইনটেইন করে, টেনশন হ্যান্ডেল করে, ভালো একটা রেজাল্ট করতে পারা আসলেই একটা বড় রেস্পন্সিবিলিটি। তবে, এমনটা নয় যে শুধুমাত্র সিজিপিএ দিয়ে জীবন চালিয়ে নিতে হবে। যদি আপনার সিজিপিএ একটু কম হয়, তাহলে প্রফেশনাল লাইফের শুরুতে হয়তো একটু কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, তবে স্কিল আর ডিটা...

সিভিতে এক্সপেরিএন্স লিখবেন কিভাবে?

ছবি
ক্যারিয়ারে স্ট্রং স্টার্ট? তাহলে সিভি লিখুন স্মার্টলি! চাকরির জন্য সিভি বানানোটা স্রেফ রুটিনের মতো কিছু না—এটা একটা আর্ট! ফ্রেশার হোন আর এক্সপেরিয়েন্সড, সিভিতে নিজেকে ঠিকভাবে প্রেজেন্ট করতে পারাটাই আপনাকে এগিয়ে রাখবে। ১. এক্সপেরিয়েন্স ম্যাটারস: রেজাল্ট কেমন সেটার থেকে ইম্পর্ট্যান্ট আপনি কী কী অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। সব এক্সপেরিয়েন্স গুছিয়ে লেখেন—ধীরে ধীরে, টপ থেকে সাজিয়ে। কখন, কোন কোম্পানিতে, কী পজিশনে কাজ করেছেন, প্রমোশন পেয়েছেন? ফ্লো থাকলে পুরো ব্যাপারটা পরিস্কার হবে। ২. জব ডিসক্রিপশন শেয়ার করুন: আপনার রোলটা কেমন ছিল? কিভাবে কাজ করতেন, আপনার কাজ কোম্পানির জন্য কতটা ইফেক্টিভ ছিল, সবটা বুলেট পয়েন্টে ক্লিয়ারলি বলুন। কাজের ইমপ্যাক্ট শো করতে পারলে সেটা আপনার প্রফাইলকে অন্য লেভেলে নিয়ে যাবে। ৩. ফরম্যাটিং মেইনটেইন রাখুন: ফন্ট ১২-তে একটা লাইন, আবার পরের লাইন ১৬? এভাবে করলে রিক্রুটার ভাববে আপনি কপি-পেস্ট এক্সপার্ট। একই স্টাইল, ফন্ট সাইজ আর লেআউট ধরে রাখুন পুরো সিভিতে—যেন লুক হয় একদম প্রফেশনাল। ৪. সিভি আ্যলাইন করুন: এক পোর্টালে একরকম সিভি আরেক পোর্টালে আরেকরকম—এটা একদমই নয়! সব জায়গায় একই সি...

সঠিক খাবার, সুস্থ জীবন!

ছবি
আমাদের বয়স, জেন্ডার, আর লাইফস্টাইল যাই হোক না কেন, এক্স্যাক্ট ডায়েট প্ল্যান সবার জন্য আলাদা হতে পারে। তবে, বেসিক কিছু প্রিন্সিপাল সবার জন্যই কাজ করে। সবাই জানি, জাঙ্ক ফুডের টেস্ট অসাধারণ, কিন্তু হেলদি লাইফের জন্য কিছু ফুড হ্যাবিট চেঞ্জ করতেই হবে। তো চলুন, দেখে নিই কী কী খাওয়া উচিত আর কী এভয়েড করা বেটার! খাওয়া উচিত ১. ফাইবার, স্টার্চ আর কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ খাবার পেট পরিষ্কার রাখতে চান? ওজন আর ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে চান? তাহলে আপনার মেনুতে রাখুন আটা, লাল চাল, আলু, সিম, মটর, বাদাম, গম আর যবের মতো খাবারগুলো। এছাড়া এগুলো কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়। ২. ফলমূল ও সবজি ফল আর সবজিতে আছে ভিটামিন, মিনারেল আর পটাশিয়াম, যা আপনার হজমশক্তি বাড়াবে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করবে আর গাট হেলথ ভালো রাখবে। ৩. বেশি বেশি মাছ মাছে আছে ভিটামিন, জিংক, আয়োডিন, আয়রন আর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ব্রেন আর হার্টের জন্য সুপার হেলদি। ৪. পর্যাপ্ত পানি পান করুন রোজ ৩ থেকে ৭ লিটার পানি খাওয়া উচিত। পানি শুধু ডিহাইড্রেশন দূর করে না, বরং হার্টবিট, প্রেসার আর হজম রেগুলেট করতে সাহায্য করে। ৫. হেলদি ব্রেকফাস্ট দিনে...

বানিয়ে নিন ইমার্জেন্সি ফান্ড।

ছবি
বিপদ কখনো বলে আসে না, তাই ইমার্জেন্সি ফান্ড তৈরি করাটা মাস্ট! চলুন দেখি, কিভাবে এই ফান্ড বানাবেন আর এর সুবিধাগুলো কী কী? ইমার্জেন্সি ফান্ড কী? ইমার্জেন্সি ফান্ড হচ্ছে সেই সেভিংস, যেটা কোনো হঠাৎ সমস্যা বা জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজে লাগবে। আপনি বা আপনার ফ্যামিলির কেউ অসুস্থ হলে, চাকরি চলে গেলে বা করোনার মতো দুর্যোগে পড়লে এই ফান্ড আপনার বাঁচার রাস্তা হতে পারে। কিভাবে ইমার্জেন্সি ফান্ড তৈরি করবেন? রেগুলার সেভিংস: ইনকামের একটা অংশ নিয়মিত সেভিংস হিসেবে আলাদা করে রাখুন। বোনাস বা ইনসেনটিভ: চাকরি থেকে পাওয়া বোনাস বা ইনসেনটিভের টাকা এই ফান্ডে যোগ করুন। চেঞ্জ সেভিংস: কেনাকাটার সময় যে ভাংতি ফেরত পান, সেটাও এই ফান্ডে জমা করতে পারেন। ইমার্জেন্সি ফান্ডের টার্গেট পূরণ হলে কি করবেন? ফান্ডের টার্গেট এমাউন্ট জমা হয়ে গেলেও সেভিংস চালিয়ে যান। অতিরিক্ত টাকা অন্য কোথাও ইনভেস্ট করুন। এই ফান্ড শুধু ইমার্জেন্সি পারপাসে ব্যবহার করুন। বছরে অন্তত একবার ফান্ডটা রিভিউ করুন: আপনার অর্থনৈতিক অবস্থা, চাকরি, ফ্যামিলি মেম্বারের সংখ্যা অনুযায়ী ফান্ডের টার্গেট রিভিউ করুন। ইমার্জেন্সি ফান্ড অনেকটা প্যারাস্যুটের মতো। ...

ব্যাগ গোছানোর দারুন টিপস।

ছবি
ট্যুরে গেলে লাগেজ বা ব্যাগের ঝামেলা যেন না হয়, তাই লাগেজ ম্যানেজমেন্টে একটু স্মার্ট হলে পুরো ট্যুরটা হবে একদম রিল্যাক্সিং। আসুন জেনে নেই ট্রাভেল ব্যাগ গুছানোর কিছু সহজ টিপস, যেগুলো আপনাকে বানাবে প্রো প্যাকার! ১. কাপড় রাখুন ঠিকঠাক ভাবে এলোপাতাড়ি কাপড় ঢুকালে ব্যাগ তাড়াতাড়ি ভরে যাবে। একটু গুছিয়ে রোল করে রাখলে একদিকে জায়গা বাঁচবে, আর অন্যদিকে প্রিয় আউটফিটগুলোও থাকবে রেডি-টু-গো! ডেস্টিনেশন আর ওয়েদার মাথায় রেখে নিন প্রয়োজনীয় কাপড়। ২. ভেজা কাপড় ক্যারি করবেন না তাড়াহুড়ো করে কখনো ভেজা কাপড় ব্যাগে ফেলবেন না। শাওয়ার ক্যাপ বা প্লাস্টিক ব্যাগে ভরে রাখলে অন্য কাপড়গুলোও থাকবে সেফ! ৩. লিকুইড আইটেম সাবধানে লিকুইড জিনিস যত কম নেয়া যায় তত ভালো। দরকার হলে ছোট বোতলে বা কন্টেইনারে নিয়ে টেপ দিয়ে সিল করে রাখুন। পলিথিনে ভরে রাখলে স্পিল হওয়ার চান্স কমে। ৪. এক্সট্রা কিছু নিবেন না বাড়তি জিনিস ব্যাগে ভরলে তা বয়ে বেড়াতে হিমশিম খাবেন। দরকারি জিনিসগুলোই নিন—বাড়তি ওয়েট চার্জ এড়াতে অপ্রয়োজনীয় আইটেম বাদ দিন। ৫. আন্ডার গার্মেন্টসের ব্যাপারে সচেতন থাকুন হাইজিন মেইনটেন করতে এইগুলো নিজের ব্যাগে গুছিয়ে রাখুন। ভাইরাস ইনফেকশন ...

ওয়াশ রুম এটিকেট

ছবি
টপিক দেখে হয়তো অনেকেই নাক সিঁটকাবেন, কিন্তু ওয়াশরুম এটিকেট কোনোভাবেই ইগনোর করার মতো কিছু না। কারণ ওয়াশরুম ব্যবহার আমরা সবাই করি! কিন্তু কজনই বা জানি কিভাবে ব্যবহার করা উচিত? যদি জানেন, খুব ভালো! আর না জানলে বা ভুলে গিয়ে থাকেন, চলুন একটু ঝালাই করে নিই। বেসিক রুল সহজ - আপনি যেভাবে পরিষ্কার ওয়াশরুম ব্যবহার করতে চান, তেমন রেখেই বের হোন। তবেই ওয়াশরুম থাকবে সুন্দর, সবার জন্য। আর এই সহজ রুলের সাথে কিছু এক্সট্রা টিপস থাকছে আপনার জন্য। টিপস ১. ওয়াশরুম শুকনো রাখুন: ব্যবহারের পর কমোডের সিট বা বেসিন ভিজে থাকলে টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন। পরে যারা ঢুকবেন, তাদের জন্য জায়গাটা যেন থাকে ড্রাই। টিপস ২. ফ্লাশ মিস করবেন না! সত্যি বলছি, আপনার ‘শিল্পকর্ম’ কেউ দেখতে চায় না। কাজ শেষে ফ্লাশ করতে ভুলবেন না, এতে সবারই মঙ্গল! টিপস ৩. টিস্যু যথাস্থানে ফেলুন: ব্যবহার করা টিস্যু নিয়ে সৌন্দর্যচর্চা করতে হবে না। টিস্যু ডাস্টবিনে ফেলুন। এটা সবার জন্য একটা বেসিক ম্যানার। টিপস ৪. পাবলিক টয়লেটে দরজায় ধাক্কাধাক্কি না: টয়লেট বিজি থাকলে ধৈর্য ধরুন। যিনি ভেতরে আছেন, তিনিও আপনার মতোই ব্যস্ত হয়তো! তাই ধাক্কাধাক্কি না করে অপেক্ষা কর...

চ্যাট করার বেসিক টেকনিক

ছবি
টেক্সটিং-এর বেসিক এটিকেট ও ম্যাসেঞ্জারের চমৎকার হ্যাক্স! আজকাল আমরা বেশিরভাগ কথা ফোন বা টেক্সটের মাধ্যমে করি। তবে টেক্সটিং-এরও কিছু এটিকেট আছে যা না মানলে অন্যপক্ষ মনে করবে, "এই ছেলে/মেয়ে এতটা রুড কেন?" তাই চলুন জেনে নিই কিছু মজার টিপস ও ট্রিকস, যা দিয়ে আপনার টেক্সটিং লেভেল নেক্সট গিয়ারে চলে যাবে। ট্রিকস ১. টেক্সটিং-এর বেসিক এটিকেট মেনেই শুরু করি: যে কাউকে টেক্সট করার আগে নিজের পরিচয়টা দিন, বিশেষ করে যদি পরিচিত না হন। একেবারে তেড়েফুঁড়ে মেসেজ দিয়ে বসবেন না। যেমন, “এটা বুঝছি না, একটু হেল্প করেন” - শুনতে বেশ কমান্ডিং শোনায়, তাই না? এর বদলে, একটু ভদ্রতার ছোঁয়া দিন, শেষে একটা ছোট্ট ইমোজি যোগ করুন। এছাড়া, ভুল বানান ঠিক করতে এস্টেরিস্ক দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে শুদ্ধ বানান লিখে ফেলুন। এতে দেখাবে আপনি কেয়ারফুল আর প্রফেশনাল।  ট্রিকস ২. "সিন করে রেখে দেওয়া" – বড় ধরনের "রুডনেস": কেউ মেসেজ করলে, দ্রুত রিপ্লাই না দিতে পারলে পরে রিপ্লাই দিন। কিন্তু শুধু সিন করে রেখে দেওয়া কিন্তু বেমানান। দরকার হলে একটা সংক্ষিপ্ত রিপ্লাই দিন। ট্রিকস ৩. মেসেঞ্জারের "সিক্রেট" কাজে লাগান:...

ভালভাবে বাঁচতে ভুলে যাচ্ছেন না তো?

ছবি
আমরা সবাই জানি, জীবনের এই রেসে সবাই ছুটছি। কিন্তু কিভাবে জীবনটাকে সুন্দর আর মিনিংফুল করা যায়? আসলেই, কিছু সিম্পল স্টেপে ব্যাপারটা হয়ে যেতে পারে অনেক ইজি। স্টেপ ১. পুরনো ভুল ভোলা – Let the Past Go! যা গেছে, তা নিয়ে পড়ে থাকলে সামনে এগোনো কঠিন হয়ে যায়। অতীত থেকে লেসন নেয়া দরকার, তবে সেটাকে ধরে বসে থাকলে কিন্তু ফিউচার বেস্ট হবে না। তাই লেসন নেন, আর সুন্দর প্রেজেন্ট ও ফিউচার তৈরি করুন! স্টেপ ২. বদ অভ্যাসকে Bye Bye বলুন স্মোকিং, ড্রিংকিং, জুয়া— এগুলো আজকের জন্য ফান মনে হতে পারে, কিন্তু লং টার্মে কিন্তু মোটেও কুল না! এই বদ অভ্যাসগুলোকে বিদায় দিন আর হেলদি লাইফের দিকে এগিয়ে যান। স্টেপ ৩. নিজের সাথে সন্তুষ্ট থাকুন যা কিছু আছে, আগে তার জন্য থ্যাংকফুল থাকুন। প্রতিযোগিতায় না গিয়ে নিজের স্কিলগুলোকে ডেভেলপ করার চেষ্টা করুন। স্টেপ ৪. লাইফের লক্ষ্য ঠিক করুন শুধু কাজ বা প্রফেশন নয়, আপনার জীবনেও একটা লক্ষ্য থাকা জরুরি। নিজের স্ট্রেন্থগুলো কাজে লাগান আর উইকনেসগুলো কাটিয়ে উঠুন। স্টেপ ৫. দায়িত্বশীল আর আত্মনির্ভরশীল হন নিজের দায়িত্বের ব্যাপারে সিরিয়াস হন। নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রাখুন যেন অন্যরাও আপনার উপর ভরস...

ইনভেস্ট করবেন কোথায়?

ছবি
পার্সোনাল ফাইন্যান্স মেইন্টেন করাটা যেমন ইম্পর্ট্যান্ট, তেমনি সেভিংস করলেই হবে না—স্মার্ট ইনভেস্টমেন্ট করাটাও সমান জরুরি। তবে অনলাইন ঘাঁটলেই দেখি ওয়েস্টার্ন কনটেক্সট নিয়ে হাজার টিপস, যা আমাদের জন্য কাজের না। তাই আজ বলব ঠিক কীভাবে এবং কোথায় ইনভেস্ট করবেন। কীভাবে আপনার ইনকাম কাজে লাগাবেন? চলুন দেখি সহজ কিছু অপশনঃ- ১ ~ ব্যাংক ডিপিএস মাসিক কিছু টাকা ব্যাংকের ডিপিএসে রাখতে পারেন। অনেক ব্যাংকের ভ্যারাইটি অফার আছে। নিজের জন্য বেস্ট ডিপিএস প্ল্যানটা বেছে নিন। ২ ~ সঞ্চয়পত্র বাংলাদেশে সঞ্চয়পত্র খুবই পপুলার ইনভেস্টমেন্ট অপশন। রিটার্ন ভালো আর সিকিউরিটি একদম অন পয়েন্ট। একটু বেশি রিটার্ন আর সেফটি চাইলে এটা ট্রাই করে দেখতে পারেন। ৩ ~ শেয়ারবাজার যদি স্টক মার্কেট নিয়ে ভালো আইডিয়া থাকে, তবে কিছু ইনভেস্টমেন্ট এখানে করতেই পারেন। রিস্ক আছে কিন্তু গুড রিটার্নও পাবেন যদি ঠিকঠাক বুঝে চলেন। এবার চলুন একটু হাই ভ্যালু ইনভেস্টমেন্টের দিকে নজর দিইঃ- ১ ~ ফার্মিং ইনভেস্টমেন্ট জমিজমা থাকলে নিজের গ্রামে একটা ছোট ফার্মিং বিজনেসে ইনভেস্ট করতে পারেন। পরিচিত কাউকে পার্টনার বানিয়ে শুরু করলে বেশি কনভেনিয়েন্ট হবে। লাভও ভাল...

ট্যুরে গিয়ে ভুল।

ছবি
ট্যুরে গিয়ে কিছু কমন ভুল আমরা না চাইলেও করে ফেলি, আর তার ফলেই ট্যুরের মজা হয়ে যায় মিস! তো, আসুন আজ জানি ৮টা মেজর ভুল যা ট্রাভেলের আগে মাথায় রাখলে পুরো ভ্রমণটা হয়ে উঠবে ঝামেলামুক্ত আর ফানফিল্ড। ১ # ব্যাগটা ঠিকঠাক গুছান কোথায় যাচ্ছেন, কতদিন থাকবেন—সেটা মাথায় রেখে ব্যাগ প্যাকিং করুন। হালকা ট্যুরে ১-২ দিনের জন্য ব্যাকপ্যাক এনাফ। কিন্তু লম্বা ট্যুরে হলে মিডিয়াম সাইজের লাগেজ নেওয়া বেস্ট অপশন। ২ # খাবার নিয়ে প্ল্যান করুন লোকাল রেস্টুরেন্টে গেলে কিছু কমন খাবার অর্ডার করুন, যেটার টেস্ট আপনার জানা। আর অবশ্যই দাম জেনে নিন, নয়তো শেষে ট্যুর বাজেটের ওপর ঝড় বয়ে যেতে পারে! ৩ # রুট প্ল্যানিং ফলো করুন ট্যুরে গেলে নতুন কিছু এক্সপ্লোর করতে ইচ্ছা করবেই, তবে ফিক্সড রুট প্ল্যান রাখুন। বেশি দূর সরে গেলে বাজেট আর সময় দুইটাই বেড়ে যায়! ৪ # দরকারি ডকুমেন্ট চেকলিস্ট ট্যুরের আগে ভিসা, ডলার এন্ডোর্সমেন্ট, টিকিট এসবের ঝামেলা সারুন। পাসপোর্ট, এনআইডি, ক্রেডিট কার্ড, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সবকিছু ঠিকমতো গুছিয়ে রাখুন। আর টিকিটে অফার থাকলে কনসিডার করে নিতে ভুলবেন না! ৫ # টাইম ডিফারেন্স খেয়াল করুন বিদেশে গেলে ফোনের টাইম ম্...

লিফটে ওঠার নিয়ম

ছবি
আজকের বিষয় সিম্পল হলেও বেশ দরকারি - লিফট এ ব্যবহার। ধরেন আপনি বিল্ডিং এর দশতলা থেকে নামছেন। প্রতিটা ফ্লোরেই লিফট থামছে আর দরজা খুলতেই কেউ আপনাকে প্রশ্ন করছে, “উপরের দিকে যাচ্ছেন না নীচের দিকে?” — মানে কি দারুণ বিরক্তির ব্যাপার! ব্যাপারটা খুব সোজা। টপ ফ্লোর আর গ্রাউন্ড ফ্লোর বাদে সব ফ্লোরেই লিফটের দুইটা বাটন থাকে – একটা উপরের জন্য আরেকটা নিচের জন্য। তাই দরজা খুলতেই “লিফট উপরে যাচ্ছে না নিচে?” প্রশ্নের ঝামেলা নেই। ধরেন আপনার নিচে নামার খুব তাড়া। তাই লিফটের সামনে দাঁড়িয়ে বারবার বাটন চেপেই চলেছেন। সত্যি বলতে, একবার চাপলেও লিফট আসবে সেই একই স্পিডে, তাই হাত আর সময় দুইই বাঁচান। লিফটে উঠে মোবাইল কানে নিয়ে আর কেটে যাওয়া নেটওয়ার্কের জন্য হাঁসফাঁস করার কি দরকার? লিফটে একটু শান্ত থাকলেই হয়। কয়েক মিনিটের ব্যাপার মাত্র। আবার খুব জোরে নিজের পার্সোনাল গল্পগুলো বলতেও হবে না। পরিচিত কেউ থাকলেও মৃদু স্বরে কথা বলাই ভালো। লিফট মানে লোকাল বাস না, তাই দরজা খুলতেই ঝাঁপিয়ে পড়ে উঠে যাবেন না। একটু অপেক্ষা করে দেখেন। যদি দেখেন খুব ভীড়, পরের লিফটে যাওয়াই স্মার্ট ডিসিশন। আবার লিফটের দরজা খুলতেই সবাইকে পিছিয়ে দিয়ে ...

স্কিল বাড়ান সহজেই!

ছবি
ক্যারিয়ারে এগিয়ে যেতে স্কিল ডেভেলপমেন্টে গুরুত্ব দিন। ক্যারিয়ারে সফল হতে চাইলে নতুন স্কিল শিখার বিকল্প নেই। তবে এই স্কিল ডেভেলপ করতে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা উচিত। চলুন দেখে নেই কীভাবে আরও কার্যকরভাবে নতুন স্কিল বিল্ড করা যায়। ১। বাস্তববাদী হন (Be Realistic)। আপনার স্কিল ডেভেলপের ক্ষেত্রে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা করুন। যেমন, আপনি যদি ইংরেজি শিখতে চান, তবে ২ সপ্তাহে ফ্লুয়েন্ট ইংরেজি বলা সম্ভব হবে না। তাই স্কিল শেখার সময় বাস্তববাদী লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। ২। পরিমাণের চেয়ে কোয়ালিটিতে ফোকাস করুন। ছোট ছোট ১০-২০টি অপ্রয়োজনীয় স্কিল শেখার চেয়ে এমন ১-২টি স্কিল শিখুন যা আসলেই আপনার কাজে আসবে। কাজেই, অল্প কিন্তু প্রয়োজনীয় স্কিলে মনোযোগ দিন। ৩। রেজাল্টের চেয়ে প্রসেসে ফোকাস করুন। যদি আপনার লক্ষ্য প্রমোশন পেতে কমিউনিকেশন স্কিল ডেভেলপ করা হয়, তবে রেজাল্টের চেয়ে কমিউনিকেশন স্কিল শেখার প্রসেসেই ফোকাস করুন। প্রসেসে মনোযোগ দিলে রেজাল্ট নিজে থেকেই আসবে। ৪। আপনার কাজে লাগবে এমন স্কিল বেছে নিন। যে স্কিল আপনার কাজের জন্য প্রয়োজনীয় সেটাই বেছে নিন। যেমন, যদি ডাটা এনালাইসিসের প্রয়োজন হয়, তবে অ্যাডভান্স এক্সেল শিখুন। স...